বেনাপোল (যশোর): প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র না পাওয়ায় অ্যানথ্রাক্স সন্দেহে পাঁচ মণ ভারতীয় গরুর মাংস বেনাপোল বন্দর এলাকায় পুতে ধ্বংস করা হয়েছে। গত ১১ দিন ধরে মাংসগুলো বেনাপোল বন্দরে ট্রাকে আটকা ছিল।
কাস্টমস যুগ্ম কমিশনার ইসমাইল হোসেন সিরাজী বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে জানান, ঢাকার মতিঝিল এলাকার আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স ফ্রেস অ্যান্ড ফ্রোজেন গত ২৬ আগস্ট বেনাপোল বন্দর দিয়ে পাঁচ মেট্রিক টন ভারতীয় গরুর মাংস আমদানি করে। মাংস বেনাপোল বন্দরে পৌঁছানোর পর বন্দর গোডাউনের ২২ নং শেড ওয়ার্ডে রাখা হয়। এ
কাস্টমস থেকে ছাড় নেওয়ার জন্য আমদানিকারকের পে কাগজপত্র দাখিল করেন বেনাপোলের সিঅ্যান্ডএফ অ্যাজেন্ট মেসার্স জুলফিকার আলী।
কাস্টমসে কাগজপত্র দাখিল করলে কর্তৃপক্ষ প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র চায়। এ কাগজ দেখাতে ব্যর্থ হলে মাংসগুলো আটকে দেওয়া হয়।
সোমবার রাতে বেনাপোলের টার্মিনাল এলাকায় মাংসগুলো পুতে ফেলা হয়।
বেনাপোল বন্দর কর্তৃপক্ষের উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) আমিনুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে জানান, গত কয়েক দিন ধরে আমদানি করা মাংসগুলো পচে নষ্ট হয়ে যায়। তাছাড়া রেড এলার্ট জারি করায় অ্যানথ্যাক্স সন্দেহে মাংসগুলো পুতে ধ্বংস করা হয়।
অন্যদিকে মঙ্গলবার দুপুরে সকালে বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশ ও পৌরসভা কর্তৃপক্ষ যৌথভাবে গোসপট্টি বাজার থেকে অ্যানথ্রাক্স আক্রান্ত গরুর মাংসসহ মানিক নামে এক মাংস ব্যাবসায়ীকে আটক করে। এ সময় তিন মণ গরুর মাংস উদ্ধার করা হয়।
পৌর স্বাস্থ্যকর্মকর্তা জাহিদ হোসেন বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে জানান, অ্যানথ্রাক্স আক্রান্ত তিন মণ গরুর মাংস বেনাপোল বাজারে বিক্রি করার সময় মানিককে আটক করা হয়। পরে থানা ও পৌরসভা কর্তৃপক্ষ মাটিতে পুতে মাংসগুলো ধ্বংস করে দেয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৭, ২০১০