ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

রাষ্ট্রপতির ক্ষমা পাওয়া ২০ আসামির ১৪ জন মুক্ত: অপেক্ষায় ৬

শরীফ সুমন, রাজশাহী প্রতিনিধি | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৭, ২০১০
রাষ্ট্রপতির ক্ষমা পাওয়া ২০ আসামির ১৪ জন মুক্ত: অপেক্ষায় ৬

রাজশাহী: হত্যা মামলায় ফাঁসির দণ্ডাদেশ পাওয়া কারাবন্দি ২০ আসামিকে রাষ্ট্রপতি সাধারণ ক্ষমা  ঘোষণা করার পর ১৪ জনকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। সাবেক ভূমি উপমন্ত্রী রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুর ভাতিজা সাব্বির আহমেদ তালুকদার গামা হত্যা মামলায় এদের মৃত্যদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।



ফাঁসি মওকুফ হওয়া সবাই নাটোরের নলডাঙ্গা থানা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী।

মুক্তির আদেশ সোমবার কারা অধিদপ্তরে পৌঁছার পর রাত সোয়া বারোটার দিকে মুক্তি দেওয়া হয় ঢাকা কারাগারে বন্দি ১০ আসামিকে। মঙ্গলবার সকালে রাজশাহী কারাগার থেকে আরও চারজনকে মুক্তি দেওয়া হয়। রাজশাহী কারাগারে বন্দি অপর ছয় জনের বিরুদ্ধে অন্য মামলা থাকায় তাদের মুক্তি দেওয়া হয়নি।   ওইসব মামলায় জামিন পেলেই তারাও মুক্ত হবেন বলে জানিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ।

এ মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আকবর আলী নামে এক আসামি পলাতক রয়েছেন।
 
মঙ্গলবার রাজশাহী কারাগার থেকে মুক্তিপ্রাপ্তরা হলেন- জহুরুল ইসলাম শাহ্,  সোহাগ শাহ, বাবলু ও ফরমাজুল।

সোমবার মধ্যরাতে ঢাকা কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়া ১০ জন হলেন এসএম ফিরোজ, আনিসুর রহমান আনসার, বাদল, সেন্টু, আব্দুল জলিল, শাহজাহান, ফজলুল হক শাহ, ফয়সাল, ফারুক ও জাহেদুল।

রাজশাহী কারাগারে বিভিন্ন মামলায় জামিনের অপেক্ষায় থাকা ছয় আসামি হলেন- আবুল হোসেন, আতাউর রহমান, আশরাফ, সাজ্জাদ শাহ, ফকরউদ্দিন ও ওহিদুর রহমান।

প্রসঙ্গত, ২০০৬ সালের ২৪ আগস্ট গামা হত্যা মামলায় নলডাঙ্গা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম ফিরোজসহ ২১ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে ফাঁসির আদেশ দেন ঢাকার দ্রুত বিচার আদালতের বিচারক ফিরোজ আলম।

মামলার নথি ও স্থানীয় সূত্র থেকে জানা যায়, ২০০৪ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৫টার দিকে নাটোরের নলডাঙ্গা থানার রামশার কাজিপুর কামারপাড়া বাজারে সাবেক ভূমি উপমন্ত্রী ও নাটোর জেলা বিএনপি সভাপতি রুহুল কদ্দুস তালুকদার দুলুর ভাতিজা সাব্বির আহমেদ তালুকদার গামাকে একদল সন্ত্রাসী কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে। গামার মৃত্যু নিশ্চিত করে ‘পূর্ববাংলার কমিউনিস্ট পার্টি জিন্দাবাদ’ স্লোগান দিয়ে হত্যাকারীরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।

পরদিন ৮ ফেব্রুয়ারি গামার বাবা রফিকুল ইসলাম তালুকদার নলডাঙ্গা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম ফিরোজসহ ১৬ জনের নামসহ অজ্ঞাত আরো ১৫/১৬ জনের নামে নলডাঙ্গা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

এ হত্যাকাণ্ডের জের ধরে রামশার কাজিপরি গ্রামের আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী ও সমর্থকদের  ৫০টি বাড়ি ঘরে লুটপাট, ভাঙচুর, নারী নির্যাতনসহ অগ্নি-সংযোগের ঘটনা ঘঠানো হয়।

তদন্ত শেষে একই পরিবারের ১৩ জনসহ আওয়ামী লীগের ২১ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। ২০০৬ সালের ২৪ আগস্ট তাদের ফাঁসির আদেশ দেন আদালত।

গত ১৫ এপ্রিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির কাছে সাধারণ ক্ষমা চেয়ে আবেদন করেন আসামিরা। ওই আবেদনে ২ সেপ্টেম্বর স্বাক্ষর করেন রাষ্ট্রপতি।

বাংলাদেশ সময়: ১৩০০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৭, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।