ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

প্রথম প্রহরেই কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জনস্রোত

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬১৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২০
প্রথম প্রহরেই কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জনস্রোত কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জনতার ঢল। ছবি: শাকিল আহমেদ

কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে: অমর একুশে ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের প্রথম প্রহরে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জনতার ঢল নেমেছে।

বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দিনগত রাত ১২টা ১মিনিটে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  

রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী শহীদ মিনার এলাকা ছেড়ে গেলে রাত ১২টা ১৬মিনিটে শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য সর্ব সাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার।

 এরপর জনতার ঢল নামে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।                                         হাতে ভালোবাসার ফুল, বাহুতে অমর একুশে ২০২০ ও গায়ে বর্ণমালা সম্বলিত জামা, কালো ব্যাজ বা কালো জামা পরে একুশের আবহে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করছেন বিভিন্ন শ্রেণি পেশার হাজারো মানুষ।

রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর পর জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী ও সংসদের ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

আরও পড়ুন>>>একুশের প্রথম প্রহরে উপচেপড়া ভিড় শহীদ মিনারে

এরপর জাতীয় সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়ররা শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

সেনাবাহিনী প্রধান, নৌবাহিনী প্রধান, বিমানবাহিনী প্রধান, পুলিশের মহাপরিদর্শক শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।  শহীদ মিনারে আওয়ামী লীগ, ১৪ দলীয় জোটসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানানো হয়। যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা, ভাষা শহীদদের পরিবারের পক্ষ থেকেও বেদিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জনতার ঢল।  ছবি: শাকিল আহমেদসুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্টের বিচারপতিরা, বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক ও রাষ্ট্রদূত, ওআইসি প্রতিনিধি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) উপাচার্য ও ঢাবির শিক্ষক সমিতিসহ বিভিন্ন শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশান, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, ছাত্রদল, ছাত্র ইউনিয়ন, ডাকসু, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল সংসদ ও হল কর্তৃপক্ষ, পূজা উদযাপন পরিষদ, বৌদ্ধ ছাত্র পরিষদ, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট, স্বেচ্ছাসেবকধারা, বিশ্ব বাঙালি সংঘ, বিপ্লবী ওয়াকার্স পার্টি, বিপ্লবী পাদুকা শিল্প শ্রমিক সংহতি, হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল, পাবর্ত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ, বাংলাদেশ আদিবাসী সংগ্রাম পরিষদসহ বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক রাজনৈতিক সংগঠনসিহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

বাঙালি জাতির সামাজিক-সাংস্কৃতিক আন্দোলনের সূত্রপাত ঘটে বায়ান্ন সালের মহান ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে। ২১ শে ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানি হানাদারদের আক্রমণে প্রাণ দিতে হয়েছে বাংলার সূর্য সন্তানদের। তমদ্দুন মজলিসের হাত ধরে শুরু হওয়া এ আন্দোলন রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের মাধ্যমে চূড়ান্ত ফলাফল অর্জিত হয়। প্রতিবছর বীর বাঙালি ভাষার জন্য রক্ত বিলিয়ে দেওয়া সৈনিকদের গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে।

বাংলাদেশ সময়: ০০১৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২০
এসকেবি/এমইউএম/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।