ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

বয়স হচ্ছে বিশ্বাসের নাম: অর্থমন্ত্রী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২০
বয়স হচ্ছে বিশ্বাসের নাম: অর্থমন্ত্রী বিদায় সংবর্ধনায় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালসহ অন্যরা। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: একজন মানুষ যতদিন কাজ করতে পারবে ততদিন সে তরুণ রবে মন্তব্য করে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, বয়স বলতে কিছু নেই, বয়স হচ্ছে বিশ্বাসের নাম। বয়সের হিসাব কষে কোনো লাভ নেই।

বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর এনইসি সম্মেলন কক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মনোয়ার আহমেদের অবসর গ্রহণ উপলক্ষে বিদায় সংবর্ধনায় অর্থমন্ত্রী এ কথা বলেন।

সবাইকে দেশের জন্য কাজ করার আহ্বান জানাতে গিয়ে অর্থমন্ত্রী বয়সের বিষয়টি নিয়ে এ মন্তব্য করেন।

আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, সোনার বাংলা আক্ষরিক অর্থে ব্যবহার করা হয়। সোনার বাংলার কোনো সীমা-পরিসীমা নেই, দেশকে সামনে এগিয়ে নিতে হবে। সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। যার যার জায়গা থেকে দেশের জন্য কাজ করে যেতে হবে।

দেশের কোনো মানুষ ভূমিহীন ও আশ্রয়হীন থাকবে না জানিয়ে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে কাজ করে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) উদ্যোগ নিয়েছেন যাদের জমি নেই তাদের জমি ও ঘর দেওয়ার।

সদ্য বিদায়ী ইআরডি সচিব মনোয়ার আহমেদের অবদান তুলে ধরে অন্যান্য কর্মকর্তাদের উদ্দেশে অর্থমন্ত্রী বলেন, আপনারা (ইআরডি কর্মকর্তারা) মনোয়ার আহমেদের জন্য মন খারাপ করবেন না। তিনি যেভাবে দেশের জন্য কাজ করে গেছেন, আপনারা আশা করি, সেভাবে কাজ করবেন। মনোয়ার আহমেদ যেখান থেকে রেখে গেছেন, ঠিক সেখান থেকেই আপনারা শুরু করবেন।

অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মনোয়ার আহমেদ বলেন, দীর্ঘ ৩৪ বছরের চাকরিজীবনের অধ্যায় শেষ করলাম। শতভাগ পেশাদারিত্ব, আন্তরিকতা, সততা ও ভালবাসা, সৃজনশীলতা ও প্রজ্ঞা দিয়ে দেশের জন্য কাজ করেছি। বাংলাদেশ ডেভেলাপমেন্ট ফোরামসহ আন্তর্জাতিক পরিসরে বাংলাদেশের উদীয়মান অর্থনীতিকে তুলে ধরে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করার জন্য কাজ করেছি। এলডিসি স্ট্যাটাস থেকে উত্তরণ ও এর পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় করণীয় বিষয়ে কাজ করেছি।

ছাত্র জীবনের স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, বিদায়বেলায় ছাত্রজীবনের স্মৃতি তুলে ধরতে বাধা নেই। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু আদর্শ বাস্তবায়নে কাজ করেছি। সবাই ক্যাম্পাসে তাপস নামেই চিনতেন। মুক্তিযোদ্ধা বাপ-চাচাদের ঋণ কখনও পরিশোধ করা যাবে না। তবে, সবসময় তাদের আদর্শ মেখেই বড় হয়েছি। ১৯৭৯-৮০ সেশনে অর্থনীতি বিষয়ে অধ্যায়ন শুরু করি। পরিবারের আদর্শ ধারণ করেই এই বিশ্ববিদ্যালয়ের আলবেরুনী হল শাখার ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলাম। পরপর তিনবার হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলাম সবার ভালোবাসায়।

বিদায়বেলায় ইআরডি কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে মনোয়ার আহমেদ বলেন, প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন বাস্তবায়নে আপনারা কাজ করবেন। সবসময় উন্নয়ন নিয়ে কাজ করেছি। উন্নয়নের চিন্তা-চেতনা সবসময় মনের ভেতরে কাজ করে। প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ তিনি আমাকে উন্নয়নমূলক কাজে অন্তর্ভুক্ত রেখেছেন।

ইআরডির অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ শামসুল আলমের সভাপতিত্বে বিদায় সংবর্ধনায় আরও উপস্থিত ছিলেন আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিব আসাদুল ইসলাম, অর্থসচিব আব্দুর রউফ তালুকদার প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ২৩৪৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২০
এমআইএস/এমইউএম/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।