বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) কারওয়ানবাজার সোনারগাঁও ক্রসিংয়ে তাকে বাইকসহ আটক করেন দায়িত্বরত ট্রাফিক সার্জেন্ট। আলোচিত ওই বাইকার আবির একজন চাকরিজীবী।
সোনারগাঁও ক্রসিংয়ে দায়িত্বরত সার্জেন্ট আসাদুজ্জামান জুয়েল তাকে শনাক্ত করে আটকে দেন। এসময় তার বাইকের পেছনের নম্বর প্লেটে ‘সার্জেন্ট ইমরান আমার বন্ধু’ লেখার কারণ জানতে চান।
এ বিষয়ে সার্জেন্ট জুয়েল বলেন, আমি তাকে আটকে বাইকের পেছনে লেমিনেটিং করা কাগজটি দেখতে পাই। তার কাছে কারণ জানতে চাই। উত্তরে তিনি বলেন, ইমরান তার একজন খুব ভালো বন্ধু। সে তাকে মোটরসাইকেল কেনা থেকে শুরু করে তাকে চালানো শিখিয়েছেন। তাই বন্ধুর প্রতি কৃতজ্ঞতা থেকেই তিনি নম্বর প্লেটে এটি লাগিয়েছেন।
ট্রাফিক সার্জেন্ট জুয়েল বলেন, মোটরযানে নম্বর প্লেটের স্থানে নম্বর ছাড়া কোনো অঙ্কন, নাম লেখা, খোদাই করা, ঘষামাজা করা, বিজ্ঞাপন দেওয়া আইনে নিষিদ্ধ। মোটরযান আইনের ২০১৮ এর ৯২ (২) ধারায় এই অপরাধের জন্য ১ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে।
তবে আবিরের গাড়ির রেজিস্ট্রেশন, লাইসেন্স, ইন্স্যুরেন্সসহ সব কাগজপত্র ঠিক ছিল। তিনি তার ভুল স্বীকার করেছেন এবং অনুতপ্ত হয়েছেন। তাই তাকে কোনো মামলা না দিয়ে সতর্ক করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি বাইকের নম্বর প্লেটে ‘সার্জেন্ট ইমরান আমার বন্ধু’ লেখাটি ভাইরাল হয়। এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার পর বাইকটির সন্ধান করছিল ট্রাফিক পুলিশ।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২০
পিএম/এএ