ওই স্কুলছাত্রীর বাবা জানান, রাজশাহী কলেজের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী জামিউল ইসলাম জয় তার মেয়েকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করেছে। পুঠিয়া উপজেলার বানেশ্বরের একটি বাড়িতে নিয়ে গিয়ে তাকে ধর্ষণ করা হয়।
ধর্ষণের পর মেয়েটি বিয়ের জন্য চাপ দেয়। কিন্তু জামিউল তাতে অস্বীকার করে তাকে ফিরিয়ে দেয়। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি বাড়ি ফেরার সময় লাঞ্ছনা সইতে না পেরে রাগে-ক্ষোভে সে বানেশ্বর থেকে বাড়ি চলে যায়। এর পর ওইদিন বিকেলেই মেয়েটি সবার অগোচরে কীটনাশক পান করে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়। তার ঘর থেকে কীটনাশকের বোতল পাওয়া যায়।
পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে তার মৃত্যু হয়। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রামেক হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় ওই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা করবেন বলে জানান মেয়েটির বাবা।
রাজশাহীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) ইফতে খায়ের আলম জানান, এ ঘটনায় আপাতত রাজপাড়া থানায় একটি অপমৃত্যু (ইউডি) মামলা দায়ের করা হবে। তবে মেয়ের বাবা যদি ওই শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মামলা দেন তারা তা গ্রহণ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২০
এসএস/আরবি/