চা বাগান কর্তৃপক্ষের দাবি, নতুন করে চা আবাদের লক্ষ্যেই এ গাছগুলোতে করাত পড়েছে।
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে প্রেমনগর চা বাগানের ১২ নম্বর সেকশনে গিয়ে দেখা যায় ৬/৭ জন শ্রমিক মিলে অংশ নিয়েছে গাছকাটার এ কার্যক্রমে।
মহালদার (গাছ ক্রেতা) আবদুল মান্নান বলেন, আমরা ছয়জন চা বাগানের শ্রমিকদের কাছ থেকে এ গাছগুলো কিনে নিয়েছি। জনপ্রতি পড়েছে প্রায় ৫৫ হাজার টাকা করে। প্রথমে ভেবেছিলাম আমাদের লাভ হবে। কিন্তু এখন দেখছি এগুলোর অবস্থা খুবই করুণ। বেশির ভাগই ফায়ার উড (জ্বালানি কাঠ); বড় গাছ নেই তেমন একটা।
অপর মহালদার আবুল কাসেম বলেন, বাগান কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের তিন মাস সময়সীমা বেঁধে দিয়ে বলেছে এই সময়ের মধ্যে সব গাছ কেটে ফেলতে হবে।
জানা যায়, ন্যাশনাল টি কোম্পানি লিমিটেডের (এনটিসি) প্রেমনগর চা বাগানের ১২ নম্বর সেকশনের প্রায় সত্তর একর জায়গাজুড়ে চা শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়নের জন্য প্রায় পঞ্চাশ হাজার একাশিয়া-বেলজিয়াম গাছ লাগানো হয়েছিল। এ গাছগুলোর বয়স প্রায় চার বছর। প্রায় দু’সপ্তাহ ধরে চলছে এই গাছকাটার আয়োজন।
প্রেমনগর চা বাগানের ব্যবস্থাপক দেওয়ান বাহা উদ্দিন লিটন বাংলানিউজকে বলেন, এই গাছগুলো টি প্ল্যান্টেশনের (চা আবাদ) জন্য কাটা হচ্ছে। বাংলাদেশ চা বোর্ডের নীতিমালা অনুযায়ী প্রতি বছর বাগানের অনাবাদি জমিগুলোকে চাষাবাদের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। সেই পরিকল্পনা মোতাবেক অগ্রসর হচ্ছি আমরা।
জায়গাটি সম্পর্কে তিনি বলেন, পনের বছর আগে এই জায়গায় বাগানের সেকশন ছিল। তারপর দেখা গেছে, জায়গাটি আমাদের নেই। কারণ, বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর মৌলভীবাজার রাডার স্টেশন আমাদের অনেক জায়গা অধিগ্রহণ করেছে। এক সময় চা বাগানের ম্যানেজারদের ধারণা ছিল এই জায়গাটুকু সম্ভবত রাডার স্টেশনের অ্যাকোয়ার করা। সবশেষ ম্যাপে হঠাৎ দেখেছি যে, এই জায়গাটি আমাদের। আমি এসে সেটা খুঁজে বের করেছি। এছাড়াও রাডার স্টেশন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে জানতে পারি যে এই জায়গাটি তাদের নয়। তারপর থেকে আমাদের জায়গা আমরা উদ্ধার করছি চা আবাদের জন্য।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৩২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২০
বিবিবি/এএ