ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

রাজশাহী সীমান্তে হত্যা বন্ধ-সহাবস্থান নিশ্চিত করবে বিএসএফ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২৫৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২০
রাজশাহী সীমান্তে হত্যা বন্ধ-সহাবস্থান নিশ্চিত করবে বিএসএফ

রাজশাহী: রাজশাহী সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফ সেক্টর কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সীমান্তে হত্যা বন্ধে বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজশাহীর পবা উপজেলার সোনাইকান্দি বিওপির (বর্ডার আউট পোস্ট) ওপারে পদ্মার চরে এ বৈঠকের আয়োজন করে বিএসএফ।

বৈঠকে বিএসএফ আগামীতে সীমান্তে সহাবস্থান নিশ্চিত ও হত্যা বন্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বিএসএফ।

ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিএসএফের বহরমপুর সেক্টরের ডিআইজি কুনাল মজুমদারের নেতৃত্বে বিএসএফ-৩৫ ব্যাটেলিয়নের শীর্ষ কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। আর বিজিবি-১ ব্যাটালিয়নের পক্ষে নেতৃত্ব দেন রাজশাহী সেক্টরের কমান্ডার কর্নেল তুহিন মাসুদ।

বৈঠকে রাজশাহী সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহতের ঘটনাগুলোর প্রতিবাদ জানানো হয় বিজিবির পক্ষ থেকে।

রাজশাহী সেক্টরের কমান্ডার কর্নেল তুহিন মাসুদ বলেন, বৈঠকে বিজিবির পক্ষ থেকে দুইটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উপস্থাপন করা হয়। এর একটি হলো সীমান্ত হত্যা এবং অপরটি অনুপ্রবেশ করে বাংলাদেশিদের ধরে নিয়ে যাওয়া।

বিএসএফকে জানানো হয়, গেলো এক মাসে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নওগাঁ সীমান্তে অন্তত নয়জন বাংলাদেশি নিহত হয়েছে, যা অনাকাঙ্ক্ষিত।

কেউ ভুল করে ভারতীয় সীমানায় অনুপ্রবেশ করলে রেওয়াজ অনুযায়ী পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বিজিবির কাছে হস্তান্তরের অনুরোধ জানানো হয়। অপরদিকে ৩১ জানুয়ারি পবা উপজেলার সোনাইকান্দি বিওপি এলাকার পদ্মা থেকে পাঁচ জেলেকে ধরে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা নিয়ে উভয়পক্ষে আলোচনা হয়।

বিজিবির পক্ষ থেকে বিএসএফ কমান্ডারকে জানানো হয়, বাংলাদেশের ভেতরে পদ্মা নদীতে স্পিড বোর্ড করে তেড়ে এসে তাদের ধরে নিয়ে যায় বিএসএফ। ধরে নিয়ে যাওয়ার ঘটনার ফুটেজও দেখানো হয়েছে বিএসএফকে।

এ ঘটনায় প্রথম দফা পতাকা বৈঠকে বসার প্রতিশ্রুতি দিলেও বিএসএফ হাজির হয়নি। পরে দ্বিতীয় দফায় পতাকা বৈঠক হলেও বাংলাদেশি পাঁচ জেলেকে মুক্তি দেওয়া হয়নি। উল্টো ভারতীয় ভূখণ্ডে অনুপ্রবেশের অভিযোগ এনে মুর্শিদাবাদ পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।

কর্নেল তুহিন মাসুদ বলেন, দুইটি বিষয়ের জবাবে সীমান্ত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে বিএসএফ পাল্টা অভিযোগ করেছে।

বিএসএফ বলছে, গরু চোরাকারবারীরা বিএসএফের বাধা উপেক্ষা করে ভারতে ঢুকে পড়ে। অনেক সময় চোরাকারবারীরা হামলাও করে। তখন বাধ্য হয়ে গুলি চালানো হয়। বৈঠকের পর সীমান্তে সহাবস্থান নিশ্চিতের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বিএসএফ। রাজশাহী বিজিবি-১ ব্যাটালিয়নের এই কর্মকর্তা এসব তথ্য জানান।

বাংলাদেশ সময়: ২১৫৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২০
এসএস/এইচএডি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।