এর আগে, গত মঙ্গলবার (১৮ ফেরুয়ারি) ওই বাড়ির সদস্য মানিক (৩০) নামে একজনের মৃত্যু হয়।
পাথরঘাটা হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, উপজেলার সদর ইউনিয়নের টেংরা গ্রামের একই বাড়ির আটজন অসুস্থ হয়ে বুধবার সন্ধ্যার দিকে হাসপাতালে আসেন।
অসুস্থরা হলেন- মানিকের ছেলে সাইফুল ইসলাম (০৯), ছোট বোন মিনারা বেগম (৩০), ভাতিজি পারভিন (২২), ভাতিজি সাহরিন (১১), ভাতিজা জারিফ (৬), ভাতিজি জান্নাত (৯), ইমা (১১) এবং চাচাতো বোন নাসরিন (৩০)। এদের মধ্যে মিনারা, সাবরিনা ও ইমা গুরুতর।
মৃত মানিকের মামা বাংলানিউজকে বলেন, মানিক হঠাৎ কয়েকবার বমি করে আর দুইবার পায়খানায় যায়। দুর্বল হয়ে কয়েক ঘণ্টা পর সে মারা যায়।
আবাসিক চিকিৎসক সাইদুল আরেফিন মজুমদার বাংলানিউজকে জানান, করোনা ভাইরাস নিয়ে অতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। যারা হাসপাতালে এসেছেন তারা সবাই জ্বর বমি, পাতলা পায়খানায় আক্রান্ত হয়ে এসেছে। গতকাল ওই বাড়ির সদস্য মানিক একই সিনটম নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে কিছুক্ষণ পরে মারা গেছেন।
ডা. আবুল ফাত্তাহ বাংলানিউজকে জানান, একই বাড়ির আটজন অসুস্থ ও একজনের মৃত্যুর বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখা হচ্ছে। তবে পরীক্ষা ছাড়া কিছুই বলা যাচ্ছে না। পাথরঘাটা উপজেলা কমপ্লেক্সে এ সংক্রান্ত পরীক্ষা না থাকার কারণে তাদের বরিশাল শেরে বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে যেতে বলা হয়েছে।
রোগীর পারিবারের সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, তাদের আর্থিক সচ্ছলতা না থাকার কারণে তারা পাথরঘাটা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অবস্থান করে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২০
এনটি