ঢাকা, শুক্রবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

কুড়িগ্রামে ধরলার ভাঙন রোধের দাবিতে নদীতীরে মানববন্ধন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২২৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২০
কুড়িগ্রামে ধরলার ভাঙন রোধের দাবিতে নদীতীরে মানববন্ধন কুড়িগ্রামে ধরলার ভাঙন রোধের দাবিতে নদীতীরে মানববন্ধন। ছবি: বাংলানিউজ

কুড়িগ্রাম: কুড়িগ্রাম সদরের মোগলবাসা ইউনিয়নের চার কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ধরলা নদীর প্রবল ভাঙন থেকে ঘরবাড়ি ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানসহ বিস্তীর্ণ এলাকা রক্ষার দাবিতে নদীতীরে মানববন্ধন করেছেন স্থানীয়রা। 

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মোগলবাসা ইউনিয়নের দছিমুদ্দির মোড় থেকে স্লুইসগেট পর্যন্ত এলাকার ভাঙন রোধে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়ে মানববন্ধনে অংশ নেয় বিদ্যালয়-মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ও শিক্ষকসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ।

ভাঙ্গন কবলিত ধরলা নদীর তীরে আয়োজিত মানব বন্ধনে ভাঙন রোধের দাবি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন, মোগলবাসা ইউপি চেয়ারম্যন নুরুজ্জামান বাবলু, মোগলবাসা দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল হাই, সেনের খামার দ্বিমুখী উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক শামসুন্নাহার বেগম, মোগলবাসা ঘাটের ইজারাদার মঞ্জুরুল ইসলাম রাজা, স্থানীয় ইউপি সদস্য সাইদুর রহমান প্রমুখ।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, মোগলবাসা ইউনিয়নের দছিমুদ্দির মোড় থেকে স্লুইসগেট পর্যন্ত চার কিলোমিটার এলাকা জুড়ে করালগ্রাসী ভাঙ্গনের কবলে একের পর এক বিলীন হচ্ছে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ। ইতোমধ্যে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের বিশাল অংশ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে হুমকির মুখে পড়েছে বিস্তীর্ণ এলাকাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। ভাঙ্গনের হুমকিতে রয়েছে জেলা পরিষদের কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়ক, মোগলবাসা ইউনিয়ন পরিষদ ও একমাত্র বাজার, তিনটি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, চারটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি মাদ্রাসা, বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধসহ বিস্তীর্ণ আবাদি জমি।

মোগলবাসা ইউপি চেয়ারম্যন নুরুজ্জামান বাবলু বাংলানিউজকে জানান, ধরলার ভাঙ্গন রোধে কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড শুকনা মৌসুমে কাজ না করে বর্ষা মৌসুমে সামান্য জিও ব্যাগ ও বালুর বস্তা ফেলে জরুরি কাজ করলেও ভাঙ্গন প্রতিরোধ হচ্ছে না।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: আরিফুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, ভাঙ্গন প্রতিরোধ ও বাঁধ সংস্কারে তিন কিলোমিটার এলাকায় একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। প্রকল্পটি শিগগির একনেকে পাশ হলেই ভাঙ্গন প্রতিরোধে দীর্ঘ মেয়াদী কার্যক্রম হাতে নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২০
এফইএস/এবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।