ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

খুলনায় বিলে উন্মুক্ত হাঁস পালন বন্ধের দাবি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২০৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২০
খুলনায় বিলে উন্মুক্ত হাঁস পালন বন্ধের দাবি

খুলনা: খুলনার তেরখাদা উপজেলায় বিঙ্গি বিলে উন্মুক্তভাবে হাঁস পালন বন্ধের দাবি জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত ধান চাষিরা। 

মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে খুলনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে চাষিদের পক্ষে তেরখাদা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শহীদুল ইসলাম এ দাবি জানান।

তিনি বলেন, উন্মুক্তভাবে হাঁস পালনের কারণে বিলে ধান চাষ বন্ধ হয়ে গেছে।

এখানে শতকরা ৮৫ শতাংশ মানুষ কৃষি কাজের ওপর নির্ভরশীল। কিন্তু উন্মুক্তভাবে হাঁস পালনের কারণে ধান চাষ ব্যাহত হচ্ছে।  

জানা যায়, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি উপজেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভায় কৃষি কাজের স্বার্থে বিল থেকে হাঁস উচ্ছেদের সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু ব্যবসায়ীরা ওই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে উন্মুক্তভাবে হাঁস পালন অব্যাহত রেখেছেন। হাঁসের অবাধ বিচরণের কারণে ধানের চারা নষ্ট হচ্ছে। পাশাপাশি হাঁসের বর্জ্যে পানি বিষাক্ত হয়ে চর্ম রোগ ছড়িয়ে পড়েছে।

শহীদুল ইসলাম বলেন, উপজেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির প্রতিটি মাসিক সভায় তেরখাদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, তেরখাদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান, সব ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান, সাংবাদিকসহ আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সবসদস্যের সম্মতিক্রমে কৃষক ও কৃষির স্বার্থে বিল থেকে হাঁস উচ্ছেদের সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু প্রতিবারই কতিপয় হাঁস ব্যবসায়ীরা হাঁস সরিয়ে নেওয়ার জন্য একমাস করে সময় নিয়েছেন। কিন্তু তারা অদ্যাবধি হাঁস সরাননি।  

তিনি বলেন, উপজেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির প্রধান উপদেষ্টা ও খুলনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুস সালাম মুর্শেদী গত ১৮ জানুয়ারি মাসের মাসিক সভায় বিল থেকে হাঁস উঠিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। এ সিদ্ধান্তও হাঁস ব্যবসায়ীরা উপেক্ষা করেছেন। এমতাবস্থায় গত ১৩ ফেব্রুয়ারি উপজেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভায় হাঁস উচ্ছেদের বিষয়টি বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সে মতে উপজেলা প্রশাসন কার্যক্রম শুরু করেছে। দেড় লাখ সাধারণ মানুষ ও কৃষির স্বার্থে যখন হাঁস উচ্ছেদ অভিযান চলছে, ঠিক তখনি একটি কুচক্রি মহল তাদের হীনস্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য আমিসহ প্রশাসনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্থানে কল্পকাহিনী ও অপপ্রচার চালিয়ে আমার এবং প্রশাসনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছে।

তেরখাদার দেড় লাখ মানুষ বাঁচানোর স্বার্থে কৃষি কাজে ক্ষতিকর হাঁস বিল থেকে উচ্ছেদ এবং উপজেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভায় গৃহীত পদক্ষেপ বাস্তবায়ন ও যে কুচক্রিমহল আমার ভাবমূর্তি নষ্ট করার অপপ্রচার চালাচ্ছে তাদের শাস্তির আওতায় এনে ব্যবস্থা গ্রহণ করার দাবি জানান চেয়ারম্যান।

সংবাদ সম্মেলনে বিঙ্গি বিলে হাঁস পালনে ক্ষতিগ্রস্ত চাষিরা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২০
এমআরএম/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।