ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

নাচোলে গ্রাহকের টাকা হাতিয়ে নিয়ে উধাও এনজিও

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৪৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২০
নাচোলে গ্রাহকের টাকা হাতিয়ে নিয়ে উধাও এনজিও

চাঁপাইনবাবগঞ্জ:  চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে গ্রাহকের আনুমানিক ৭ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে ‘বাংলাদেশ গ্রামীন উন্নয়ন সোসাইটি’ নামের একটি এনজিও উধাও হয়ে গেছে। খবর পেয়ে ভুক্তভোগী গ্রাহকরা এনজিওটির অফিসের মালামাল ভাগাভাগি নিয়ে টানাটানি শুরু করে।

সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলার কসবা ইউনিয়নের এলাইপুর বাজারে বাংলাদেশ গ্রামীন উন্নয়ন সোসাইটির কার্যলয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

এনজিওটির গ্রাহক শ্রীপতি কর্মকার বাংলানিউজকে বলেন, ‘বাংলাদেশ গ্রামীন উন্নয়ন সোসাইটি’ নামের একটি এনজিও কসবা ইউনিয়নের এলাইপুর বাজারে একটি অফিস ভাড়া নিয়ে প্রায় ৬ মাস ধরে ঋণদান ও সঞ্চয় সংগ্রহ কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিলো।

তারা আমাদের এলাকায় গিয়ে ঋণ দেবে বলে জনপ্রতি ৭ হাজার ৫০০, ৫ হাজার, ৩ হাজার সঞ্চয়ের টাকা নিয়েছে। ৪ মাস পূর্বে এই এনজিওর মালিক এক লাখ টাকায় বছরে আমাকে ২৪ হাজার টাকা লাভ দেবে বলে আমার কাছে থেকে এক লাখ টাকা সঞ্চয় নিয়ে সদস্য বানায়। গত এক সপ্তাহ ধরে আমি তাদের অফিসে সঞ্চয়ের টাকা আনতে গিয়ে দেখি যে, তাদের অফিসে তালা। একপর্যায়ে এনজিওর মালিক নাইমকে ফোন দিলে তার ফোন নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়। কয়েকদিন পর শোনা যায় যে এনজিওটি পালিয়ে গেছে। সোমবার দুপুরে সেই অফিসের মালামাল নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে অন্য গ্রাহকরা মালামাল ভাগাভাগি নিয়ে হট্টগোল শুরু করে।

অন্যদিকে গ্রাহক মিলি খাতুন ও ফারুক জানান, লোন নেওয়ার শর্তে দুই মাস পূর্বে তারা ৪০ হাজার করে ৮০ হাজার টাকা সঞ্চয় জমা রাখার পর লোনের জন্য তারা অফিসে এসে জানতে পারে অফিসটি তালাবদ্ধ। এ এনজিওটি প্রায় ৭ থেকে ৮ লাখ টাকা নিয়ে লাপাত্তা হয়েছে।

বিষয়টি জানতে বাংলাদেশ গ্রামীন উন্নয়ন সোসাইটির এনজিওর মালিক নাইম ইসলামের সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার ব্যবহৃত ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।

এ বিষয়ে নাচোল মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার সাধারণ সম্পাদক হেলাল উদ্দিন জানান, প্রায় ৬ মাস ধরে লাপাত্তা এনজিওটি এলাইপুর বাজারে তাদের ঋণদান ও সঞ্চয় কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিলো । হঠাৎ বিকেলে অফিসের সামনে হট্টগোল দেখে জানা যায় এনজিওটি পালিয়ে গেছে।

এ ব্যাপারে নাচোল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাবিহা সুলতানার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, কোনো এনজিও এমআরএ ছাড়া এই উপজেলায় ঋণদান কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে না। সব এনজিওর মালিককে এমআরএ লাইসেন্স জমা দিতে বলা হয়েছে। আর কথিত এনজিওর বিরুদ্ধে খুব শীগগির অভিযান পরিচালনা করা হবে।

অন্যদিকে নাচোল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম রেজা জানান, তিনি বিষয়টি অবগত নন। তবে খোঁজ নিয়ে পরে বিস্তারিত জানাবেন।

নাচোলে সমাজ সেবার নিববন্ধন নিয়ে এমআরএ ছাড়াই নিয়মনীতির কোনো তোয়াক্কা না করে দেদারসে প্রায় ৮০টি এনজিও উচ্চ হারে সুদের রমরমা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ০২৪৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২০
এইচএডি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।