ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

বাংলাদেশ-গ্রিস চুক্তির খসড়া অনুমোদন

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২০
বাংলাদেশ-গ্রিস চুক্তির খসড়া অনুমোদন

ঢাকা: বাংলাদেশ ও গ্রিসের মধ্যে স্বাক্ষরের লক্ষ্যে প্রস্তাবিত শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক সহযোগিতা চুক্তির খসড়ার অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তেজগাঁওয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠক শেষে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, বিশ্ব-সংস্কৃতির সঙ্গে বাঙালি সংস্কৃতির মেলবন্ধন জোরদার করার লক্ষ্যে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে সাংস্কৃতিক চুক্তি সম্পাদন ও এর আওতায় সাংস্কৃতিক বিনিময় কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।

‘এ প্রক্রিয়ায় এরই মধ্যে মোট ৪৪টি দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। ’

বাংলাদেশ ও গ্রিসের মধ্যে স্বাক্ষরিত সাংস্কৃতিক সহযোগিতা চুক্তিটির মূললক্ষ্য ও বৈশিষ্ট্যগুলো হলো- দু’দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক কৃষ্টি ও ঐতিহ্য সংরক্ষণে পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক সুদৃঢ়করণ, দু’দেশের সাংস্কৃতিক কার্যক্রম এবং বিশেষজ্ঞ বিনিময়ের মাধ্যমে শৈল্লিক ও সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে উভয় দেশের জনগণের জ্ঞান ও সচেতনতা অর্জন, সভা ও সেমিনার প্রদর্শনী আয়োজনের মাধ্যমে উভয় দেশের কর্মকর্তা ও বিশেষজ্ঞদের অভিজ্ঞতা বিনিময়ের সুযোগ সৃষ্টি, চারুকলা, শিল্পকলা, শিল্প সংস্কৃতি ও সংশ্লিষ্ট সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে উভয় দেশের সংস্কৃতি সমৃদ্ধকরণ, প্রকাশনা, গবেষণা ও তথ্য দেওয়া-নেওয়ার ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতামূলক কার্যক্রম গ্রহণ, সামগ্রিকভাবে সংস্কৃতি, শিল্পকলা এবং ঐতিহ্য সংরক্ষণে দু’দেশের মধ্যে সরাসরি যোগাযোগ রক্ষার সুযোগ সৃষ্টি।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, বাংলাদেশ ও গ্রিসের মধ্যে সাংস্কৃতিক সহযোগিতা বিষয়ক চুক্তি সইয়ের জন্য গ্রিস সরকারের পক্ষ হতে পাঠানো খসড়ার ওপর সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর অনাপত্তিসহ সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় হতে ২০১২ সালের ১৩ মে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে গ্রিস সরকারের কাছে খসড়া চুক্তিটি পাঠানো হয়। গ্রিস সরকারের পক্ষ হতে ২০১৮ সালের ২৮ অক্টোবর খসড়ায় কতিপয় অনুচ্ছেদে কিছু শব্দ ও বাক্য সংযোজন করা হয়। পরবর্তীতে বাংলাদেশ ও গ্রিস সরকারের মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময় চুক্তির চূড়ান্ত খসড়া প্রণয়ন করা হয়। চুক্তিটি সই হলে বাংলাদেশ ও গ্রিস সরকারের মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময় কার্যক্রম সম্পাদিত হবে। ’

আগের চুক্তির ধারাবাহিকতায় এ চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হলে উভয় দেশের সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে সহযোগিতা সম্প্রসারিত হবে। চুক্তির বিষয়ে লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে মতামত নেওয়া হয়।

কোনও পক্ষ চুক্তিটি বাতিল করতে চাইলে ৬ মাস আগে লিখিতভাবে কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে বিষয়টি অবহিত করতে হবে। এ চুক্তির বিষয়বস্তু বন্ধুপ্রতীম অন্যান্য দেশের সঙ্গে সম্পাদিত সাংস্কৃতিক সহযোগিতা চুক্তির অনুরূপ হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২০
এমআইএইচ/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad