ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

স্যানিটারি ন্যাপকিনের ভ্যাট-ট্যাক্স প্রত্যাহারের দাবি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৫৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২০
স্যানিটারি ন্যাপকিনের ভ্যাট-ট্যাক্স প্রত্যাহারের দাবি

ঢাকা: সুস্বাস্থ্যের জন্য নারীদের কাছে স্যানিটারি ন্যাপকিন সরবরাহ নিশ্চিত করা জরুরি। এক্ষেত্রে উচ্চ মূল্যই বড় বাধা। তাই স্যানেটারি প্যাডের ওপর থেকে সবধরনের ভ্যাট-ট্যাক্স প্রত্যাহার করতে হবে। একইসঙ্গে উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলোকে স্যানেটারি প্যাডকে অলাভজনক পণ্য হিসেবে তালিকাভুক্ত করতে হবে।

মঙ্গলবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘ (বিএনপিএস) ও মাসিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা (এমএইচএম) প্লাটফর্ম আয়োজিত গোলটেবিল বৈঠকে বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা এসব কথা বলেন।

বৈঠকে স্যানেটারি ন্যাপকিনের ওপর কোনো ধরনের ভ্যাট থাকা উচিত নয় বলে মন্তব্য করেন অর্থ বিভাগের যুগ্ম সচিব শেখ মোমেনা মনি।

 

তিনি বলেন, স্যানেটারি ন্যাপকিনের ওপর নতুন করে ভ্যাট আরোপের কথা এনবিআর চেয়ারম্যান অস্বীকার করেছেন। আগামী বাজেটে এ সংক্রান্ত বিষয়টি বিবেচনা করা যেতে পারে। প্রাক বাজেট আলোচনায় যেকোনো পণ্যের ওপর ভ্যাট-ট্যাক্স তুলে দেওয়ার বিষয়ে যুক্তি তুলে ধরার সুযোগ রয়েছে। আগামীতে সেটা করা গেলে সরকারের ইতিবাচক সাড়া পাওয়া যাবে বলে আশা করা যায়। তিনি স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহারসহ মাসিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার বিষয়ে সচেতনতার জন্য ঘরে-বাইরে উচ্চ কণ্ঠ হওয়ার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান।

বসুন্ধরা গ্রুপের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এখানে উত্থাপিত বিএনপিএসের প্রতিবেদনেই বলা হয়েছে, স্যানেটারি পণ্যের ওপর ১২৭ শতাংশ ভ্যাট রয়েছে। অথচ পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে আইন করে সবধরনের ভ্যাট-ট্যাক্স তুলে দেওয়া হয়েছে। আমাদের দেশে এটা করা গেলে স্যানেটারি প্যাডের মূল্য ৫০ শতাংশ কমিয়ে আনা সম্ভব। তাদের কোম্পানি এ পণ্যটি উৎপাদন খরচের বিনিময়ে বিতরণে উদ্যোগ নিয়েছে বলে তিনি জানান।  

এসিআই কর্মকর্তা মো. কামরুল হাসান বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় এ পণ্যটি ব্যবহারের ক্ষেত্রে মূল্যের থেকে সচেতনতা বড় বিষয়। তাই মাসিকের সময় স্যানেটারি প্যাড ব্যবহারের নিস্তব্ধতা ভেঙে সবাইকে সচেতন করা জরুরি। এক্ষেত্রে সরকারি-বেসরকারি সংস্থাগুলোর সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।

স্কয়ারের কর্মকর্তা তাহসিনা খানম বলেন, ‘মাসিক স্বাস্থ্য ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা’ যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্যের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বিষয়টিকে শিক্ষার একটি অংশ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে মুক্তিযোদ্ধা রোকেয়া কবীর বলেন, সামাজিক নিয়মবিধি, বিশ্বাস বা রীতিনীতি এবং প্রচলিত ধ্যানধারণা মাসিকের সময় নারী ও মেয়েদের সামাজিক, অর্থনৈতিক অংশগ্রহণকে সীমিত করে তোলাসহ নারীর সামগ্রিক ক্ষমতায়নকে বাধাগ্রস্ত করে তোলে।

বিএনপিএসের নির্বাহী পরিচালক রোকেয়া কবীরের সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশ নেন- অর্থ বিভাগের যুগ্ম সচিব শেখ মোমেনা মনি, আইসিসিডিডিআরবির জেন্ডার স্পেশালিস্ট ফারজানা করিম, কেয়ার বাংলাদেশের পরিচালক ড. ইখতিয়ার উদ্দিন খন্দকার, টিজার্ট গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাসনিয়া হক, সেফার ওয়াল্ডের কান্ট্রি প্রোগ্রাম ম্যানেজার নাজমুন নাহার, পাবলিক হেলথ ফাউন্ডেশনের ড. সমীর কুমার সাহা, ওয়াটার এইডের ইখতিয়ার উদ্দিন, রেড অরেঞ্জের নকীব রাজীব আহমেদ প্রমুখ।  

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উত্থাপন করেন বিএনপিএসের প্রোগ্রাম ম্যানেজার নাজনীন বেগম পাপ্পু।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২০
এসই/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।