ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

পৃথিবী থেকে মশা নিঃশেষ হয়ে যায়নি, বাংলাদেশেও আছে: মন্ত্রী

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২০
পৃথিবী থেকে মশা নিঃশেষ হয়ে যায়নি, বাংলাদেশেও আছে: মন্ত্রী

ঢাকা: স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, পৃথিবীর সব জায়গাতে মশা আছে, বাংলাদেশেও আছে। তবে আমরা সবাই এটার জন্য কাজ করছি, সারাক্ষণই ফলোআপ করছি।

রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে ঢাকার চারপাশের নদীগুলোর দূষণরোধ ও নাব্যতা বৃদ্ধির জন্য মাস্টারপ্ল্যান তৈরি সংক্রান্ত কমিটির সভা শেষে প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।

এ মৌসুমে মশার উপদ্রব বেড়েছে- ডেঙ্গু নিয়ে গতবারের একটা প্রভাব রয়েছে- এ বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, সারা পৃথিবী থেকে মশা নিঃশেষ হয়ে যায়নি।

পৃথিবীর সব জায়গাতে মশা আছে, বাংলাদেশেও আছে। তবে আমার তো মনে হয় যেন আমরা সবাই এটার জন্য কাজ করছি। আমরা সারাক্ষণই ফলোআপ করছি এটার স্ট্যাটাস জানার জন্য এবং এজন্য কাজ করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, আমার মনে হয়, আমরা আতঙ্কিত না হয়ে সারা পৃথিবীতে ….. আজকে চায়নাতে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চায়নার মানুষ হাল ছেড়ে দেয়নি। তারাও চ্যালেঞ্জটাকে মোকাবেলা করছে।

গতবারের যে আতঙ্ক ছিল এবারে সে আতঙ্ক থাকবে কিনা- প্রশ্নে মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশে আতঙ্ক আমার মনে হয় ওই রকম মাত্রায় যায়নি। আমরা সব সিটি করপোরেশনসহ স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অধীনস্ত সব প্রতিষ্ঠান, ভেক্টর ম্যানেজমেন্ট করা এবং ভেক্টর বর্ন ডিজিসে বাংলাদেশে গতবারের মতো যে অভিজ্ঞতা আছে তার আলোকে আরো বেশি পদক্ষেপ নিচ্ছি।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) তথ্য দিয়ে তিনি বলেন, সারা পৃথিবীতে এ বছর ভেক্টর বর্ন ডিজিসে সাত লাখ লোক মারা গেছে, আমাদের অফিসিয়াল রিপোর্ট হলো ৪৩ জন (ডেঙ্গু)। পৃথিবীর যে সমস্ত চ্যালেঞ্জ সেগুলো আমাদের জন্যও আছে। আমরাও সতর্ক আছি এবং কাজ করছি। আমাদের যতোটুকু সুযোগ আছে সব সুযোগ কাজে লাগিয়ে কাজ করছি।

‘পৃথিবীতে এই এনভাইরনমেন্টে ১০ মিলিয়ন ইনসেক্ট আছে। এর মধ্যে কিছু সংখ্যক মানুষের জন্য ক্ষতিকর। আপনারা যখন ওষুধের কথা বলেন অথবা ইনসেক্টিসাইড বলেন, যখন স্প্রে করা হয় তখন এমন পেস্টিসাইড স্প্রে করা যাবে না, যেখানে ১০ মিলিয়নের মধ্যে কিছু সংখ্যক আছে ক্ষতিকর। বাকি উপকারী সব যদি মরে যায় তাহলে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হবে। ’

তিনি বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে অনুমোদন ছাড়া এসব পেস্টিসাইড বাতাসে স্প্রে করা নিয়ে কিছু বাধ্যবাধকতা আছে। আমরা খারাপটাকে মেরে ফেলব, ভালোটাকে টিকিয়ে রাখব। এ রকম একটা সঙ্কটাপন্ন অবস্থার মধ্য দিয়ে কাজ করতে হচ্ছে।

‘আমি মনে করি আমাদের মন্ত্রণালয় এবং সরকারি কর্মকর্তারা সবাই আন্তরিকতার সঙ্গে ইতোমধ্যে কাজ করছেন। এখনও তো মশার প্রাদুর্ভাব দেখা যায়নি, বৃষ্টিও হয়নি। কিন্তু এরমধ্যে আমরা ৫/৬টা মিটিং করে ফেলেছি, উই আর ওয়ার্কিং। সিটি করপোরেশন, পৌরসভা সবার সঙ্গে রেগুলার কো-অর্ডিনেশন ও কো-অপারেশন আছে। ’

মশার ওষুধ মজুদ যথেষ্ট আছে কিনা- জানতে চাইলে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, আমাদের মজুদ আছে এবং আমাদের এখানে কিছু কিছু তৈরিও হয়। আমাদের ভেক্টর ম্যানেজমেন্ট করতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২০
এমআইএইচ/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।