ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

বালু উত্তোলনে ভেঙে পড়ছে করোতোয়ার পাড়

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২০
বালু উত্তোলনে ভেঙে পড়ছে করোতোয়ার পাড় করোতোয়া নদীর পাড়। ছবি: বাংলানিউজ

পঞ্চগড়: পঞ্চগড় জেলার একটি বালুমহল থেকে দীর্ঘ দিন ধরে বালু উত্তোলনের করায় ভেঙে পড়ছে করোতোয়া নদীর পাড়। আর এর পাশাপাশি নদীতে বিলীন হয়ে যাচ্ছে স্থানীয়দের কয়েকশ একরের আম বাগান। এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ করেছেন স্থানীয় বাগান মালিকেরা।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের এপ্রিল মাস থেকে জেলার বোদা উপজেলার কাটুনহাড়ি ও বন্দরমনি ঘাট থেকে বালু উত্তোলন করছেন ইজারদাররা।

নদীর পাড়েই কয়েকজন অধিবাসী কয়েকশ একর জমিজুড়ে কয়েকটি আম বাগান করেছেন।

বালুমহল থেকে বালু উত্তোলনের ফলে করোতোয়া নদীর পাড় ভেঙে পড়ছে। পাড়ের বালুর সঙ্গে আম গাছগুলো নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে বেশকিছু আমগাছ নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। করোতোয়া নদীর পাড়।  ছবি: বাংলানিউজবাগান মালিকেরা অভিযোগ করে বলেন, প্রায় দুইশ একর জমিতে কয়েক হাজার আমগাছ রয়েছে। এই বাগানগুলোই তাদের ইনকামের (আয়) একমাত্র অবলম্বন। বাগান থেকে প্রতিবছর তারা লাখ লাখ টাকা আয় করে সংসার চালান। কিন্তু বালুমহলের ইজাদাররা নদীর পাড় থেকে বালু সংগ্রহ করায় হুমকির মুখে পড়েছে বাগানগুলো। এমন অবস্থায় বালু উত্তোলন চলতে থাকলে বর্ষা মৌসুমে কয়েক একর জমি এবং আম বাগান নদী গর্ভে চলে যাবে।

বাগান মালিক সারোয়ার হোসেন বাংলানিউজকে জানান, নদীর ধারেই ১৫ বিঘা জমিতে আম বাগান রয়েছে তার। বেপোরোয়াভাবে নদীতে বালু উত্তোলনের ফলে আমার বাগানের কিছু অংশ এবং কয়েকজনের আম বাগান নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। করোতোয়া নদীর এই বালুমহল থেকে বালুউত্তোলন করছেন আব্দুল মজিদ নামে একজন ইজারাদার। আমবাগান। নদীতে প্রায় ১৫ ফিট গভীর করে বালু উত্তোলনের ফলে পাড় ভেঙে পড়ছে। বাগানগুলোর পাশেই রয়েছে ফসলি জমি। এভাবে বালু উত্তোলন চলতে থাকলে অচিরেই বাগান এবং ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে।

এ ব্যাপারে আমরা বেশ কয়েকবার জেলা প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার পায়নি।

ইজারাদার আব্দুল মজিদ জানান, আম বাগান তলিয়ে যাচ্ছে, এটা আমি জানি না। তবে গত বছরের এপ্রিল মাসে জেলা প্রশাসনের কাছ থেকে ৭২ লাখ টাকার বিনিময়ে বালুমহল ইজারা নিয়েছি।

পঞ্চগড় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আব্দুল মান্নান বাংলানিউজকে জানান, এ ব্যাপারে অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বোদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১৪ ঘন্টা, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২০
এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।