ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়িয়ে নতুন অভিযাত্রা শুরু করেছে

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২০
বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়িয়ে নতুন অভিযাত্রা শুরু করেছে অতিথিদের সঙ্গে অধ্যাপক মোহাম্মদ খালেদ শিশুসাহিত্য পুরস্কারপ্রাপ্তরা।

ঢাকা: মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর ট্রাস্টি বোর্ডের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা, গবেষক, প্রাবন্ধিক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মফিদুল হক বলেছেন, বাংলাদেশ অসাধারণ একটি অভিযাত্রা শুরু করেছে। প্রাকৃতিক, সাংস্কৃতিক ও সাহিত্যিকভাবে সমৃদ্ধ চট্টগ্রামও সেই অভিযাত্রার একটি অংশ হিসেবে গৌরবময় ভূমিকা রাখছে। একসময় এ দেশ ভিন্ন মতাদর্শীর কবলে অন্ধকারাচ্ছন্ন ছিল। তা কাটিয়ে বাংলাদেশ এখন ঘুরে দাঁড়িয়েছে। লেখকরা নবধারা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাভিত্তিক সৃজন কাজ করে চলেছে। প্রকাশও হচ্ছে সেইসব মননশীলতা, সৃজনশীলতা।

নতুন প্রজন্ম তা এগিয়ে নিচ্ছে। এভাবেই দেশ উপমহাদেশকে ছাপিয়ে নতুন অভিযাত্রায় বিশ্বে প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে।

সংঘাতময় পৃথিবীতে যে সংকট তৈরি হয়েছে সেই সংকট থেকে উত্তরণের পথ দেখাচ্ছে বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ ও অসাম্প্রদায়িক চেতনার অভিযাত্রায় দেশ ও জাতির সঙ্গে চট্টগ্রাম অসাধারণ একটি ভূমিকা পালন করছে।

শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রাম-সমিতি ঢাকা মিলনায়তনে চট্টগ্রাম একাডেমি প্রবর্তিত অধ্যাপক মোহাম্মদ খালেদ শিশুসাহিত্য পুরস্কার ২০১৯ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সভাপতিত্ব করেন একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা সংগঠক, কবি রাশেদ রউফ। বিশেষ অতিথি ছিলেন খ্যাতিমান চিত্রশিল্পী সবিহ্ উল আলম, মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল হক চৌধুরী মুশতাক, ছড়াশিল্পী লুৎফর রহমান রিটন, শিশুসাহিত্যিক সুজন বড়ুয়া। অনুভূতি ব্যক্ত করেন পুরস্কারপ্রাপ্ত দুই শিশুসাহিত্যিক দীপু মাহমুদ ও জসীম মেহবুব। সূচনা বক্তব্য দেন একাডেমির মহাপরিচালক অরুণ শীল। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন একাডেমির সাবেক মহাপরিচালক নেছার আহমদ ও জিন্নাহ চৌধুরী, স্লোগান সম্পাদক মোহাম্মদ জহির, খালেদ-পুত্র মোহাম্মদ জোবাইর, একাডেমির পরিচালক রমজান মাহমুদ, সুপ্রতীম বড়ুয়া, রোকেয়া হক, শারুদ নিজাম, এম কামাল উদ্দীন। সঞ্চালক ছিলেন বাচিকশিল্পী আয়েশা হক শিমু। ধন্যবাদ জানান একাডেমির আজীবন সদস্য মাজহারুল হক। প্রধান অতিথি পুরস্কারপ্রাপ্তদ্বয়ের হাতে ক্রেস্ট, সনদ ও নগদ অর্থ তুলে দেন।

মফিদুল হক বলেন, অধ্যাপক মোহাম্মদ খালেদ নিভৃতচারী ব্যক্তিত্ব ছিলেন। তার অসাধারণ নেতৃত্বে সমাজ-রাজনীতি, সংস্কৃতির মাধ্যমে চট্টগ্রাম ও জাতি এগিয়ে গেছে। চট্টগ্রামের ভৌগোলিক বৈচিত্র্য, প্রাকৃতিক বৈচিত্র্য ও সাহিত্য-সংস্কৃতি-আন্দোলন-সংগ্রামের অবদান যে কোন মানুষকে আপ্লুত করে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির চট্টগ্রাম দেশের অগ্রযাত্রায় বিভিন্ন সময়ে উল্লেখযোগ্য ও অগ্রণী ভূমিকা গৌরবের সাথে পালন করেছে। এখনও করে চলেছে। স্বাধীনতা উত্তর সাহিত্য-সংস্কৃতিতে মুক্তিযুদ্ধ দারুণভাবে উঠে এসেছে। বঙ্গবন্ধু, স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ উপাদান সংগ্রহ-সংরক্ষণের জন্য আমরা মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর প্রতিষ্ঠা করেছি। যার পেছনে কাজ করেছে জনগণের শক্তি। আশা করি, জনগণই একে এগিয়ে নেবে। আমরা চাই সবার সহযোগিতায় এ জাদুঘর আরো সুন্দর, সমৃদ্ধ ও বৈশ্বিক হবে।

লুৎফর রহমান রিটন বলেন, লেখালেখিটা দলাদলি বা সংঘবদ্ধের নয়। একসঙ্গে সবাই হাঁটবো কিন্তু সৃজনকর্ম করতে হয় নিজস্ব ও একক চেষ্টায়। একসঙ্গে হাঁটলেও নিজের হাঁটা নিজেকেই হাঁটতে হয়। তবে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান থাকতে হবে। কেউ যদি আপনাকে ঈর্ষা করে তাহলে বুঝতে হবে আপনি ভালো লিখছেন। মূলত অবজ্ঞা, অবহেলা, অশ্রদ্ধা, কষ্ট-বেদনাকে পায়ে দলে লেখককে এগিয়ে যেতে হয়। শিল্পসাহিত্য সাধনার জন্য কষ্টসহিষ্ণু হতে হবে লেখককে।

প্রথম পর্বে ছিল নতুন বইয়ের মোড়ক উন্মোচন, কথামালা ও লেখা পাঠের আসর। এতে অংশ নেন উৎপলকান্তি বড়ুয়া, প্রণব কুমার চৌধুরী, সেলিম সোলায়মান, স্বপন কুমার চৌধুরী, পরিমল ধর, সমীরণ বড়ুয়া, সিরাজুল ফরিদ, জাকির হোসেন কামাল, ডা. কল্যাণ বড়ুয়া, আহসানুল হক, লিটন কুমার চৌধুরী, আজিজ রাহমান, জসীম উদ্দীন খান, রূপক কুমার রক্ষিত, আবুল কালাম বেলাল, অমিত কুমার, শ্রিপা দাশ, আমিনা রহমান লিটু, বাসুদেব খাস্তগীর, ইসমত আরা জুলী, মিলন বনিক, রুনা তাসনিমা, সালাম সৌরভ, নান্টু বড়ুয়া, পারভীন সুলতানা, মির্জা মোহাম্মদ আলী, শিবু কান্তি দাশ, সৈয়দা সেলিমা আক্তার, লিপি চৌধুরী, ফারহানা আকতার, গৌরী ভট্টাচার্য্য, নিখিল পাল, গোফরান উদ্দীন চৌধুরী ও রেহানা মাহমুদ।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২০
এআর/এসি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।