ঢাকা, শনিবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ঢাকার মানুষ ভোট বিমুখ কেন, প্রশ্ন নাসিমের

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩০৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২০
ঢাকার মানুষ ভোট বিমুখ কেন, প্রশ্ন নাসিমের

ঢাকা: ক্ষমসতাসীন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ১৪ দলের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, ঢাকা শহরের মানুষ ভোট প্রয়োগে বিমুখ হয়ে গেছে। সরকার, সংসদ সদস্য ও দলকে উপলব্ধি করতে হবে, কী কারণে ঢাকায় এই অবস্থা তৈরি হয়েছে।

বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে মোহাম্মদ নাসিম এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমাদের ত্রুটি বিচ্যুতিগুলো সংশোধন করতে হবে।

ঢাকা শহরের মানুষ ভোট দিতে বিমুখ হলো কেন। পার্লামেন্ট সত্য কথা বলার জায়গা। প্রধানমন্ত্রীও সবসময় সত্যের সমালোচনা পছন্দ করেন। আজকে উপলদ্ধি করতে হবে, কীভাবে আমরা ভোটবান্ধব থেকে দূরে চলে যাচ্ছি। পার্লামেন্ট মেম্বারদের অবশ্যই মনে রাখতে হবে ভোটার ছাড়া আমাদের কোনো উপায় নেই। ভোটবিহীন বাংলাদেশ হতে পারে না। সরকার, এমপি ও দলকে উপলদ্ধি করতে হবে, কী কারণে ঢাকায় এই অবস্থা তৈরি হয়েছে। কেন কম ভোট পড়লো। কারণ কী।  

নাসিম বলেন, ঢাকাকে আমরা পরিচ্ছন্ন শহর চাই। মশা ও ডেঙ্গুমুক্ত শহর চাই। মেয়রদের প্রতিটি ওয়াদা বাস্তবায়ন করতে হবে আগামী সিটি নির্বাচনের আগে। না হলে মানুষ আমাদের থেকে দূরে সরে যাবে।

ষড়যন্ত্র-চক্রান্তের পথ ছেড়ে সঠিক রাজনীতির পথে ফিরে আসার জন্য বিএনপির প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, সুযোগ পেলেও ভয়াল দুঃশাসনের কারণে বিএনপি ও দলটির নেত্রী খালেদা জিয়া আজ সর্বক্ষেত্রে ব্যর্থ। দুর্নীতির কারণে কারাগারে বসে বিএনপি-জামায়াতের পাপের ফল ভোগ করছেন খালেদা জিয়া। আগামী ১০ বছর শুধু নয়, শত চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র করলেও বিএনপিকে আর কোনোদিন ক্ষমতায় আসার সুযোগ দেবে না দেশের জনগণ। কারণ তারা কোনো সময় অতীত দুঃসময় ও অসময়ের কথা ভুলে যায় না। তাই বিএনপির উচিত অতীত কৃতকর্মের জন্য দেশবাসীর কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়া।

আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, উন্নয়নে আমরা অনেক দূর এগিয়ে গেলেও ঋণখেলাপিদের দৌরাত্ম কেন দূর করতে পারছি না। ঋণখেলাপির কলঙ্ক বহন করছি। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করছি অর্থমন্ত্রীকে। এসব অর্থলুটের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে একটি কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।

তিনি আরও বলেন, নারী ও শিশু নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী অত্যন্ত কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছেন। নুসরাত হত্যার বিচার হয়েছে। তারপরও কেন নারী ও নির্যাতন বেড়েই চলেছে, জানতে চাই আইনমন্ত্রীর কাছে। কোনোভাবেই যেনো ঠেকানো যাচ্ছে না এসব।

নাসিম এও বলেন, দেশে আজকে সড়ক দুর্ঘটনা একটি গুরুতর সমস্যা। দুর্ঘটনা প্রতিরোধে আইন ও নীতিমালা করা হয়েছে। কিন্তু বাস্তবায়ন হচ্ছে না। এটা কেন। কাদের কারণে এই আইন বাস্তবায়ন করতে পারছি না। প্রতিদিন সড়কে মৃত্যুর মিছিল দেখছি। কোনোকিছুর দিকে না তাকিয়ে আইনটি বাস্তবায়ন করার জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে আহবান জানান নাসিম।

মোহাম্মদ নাসিম সংসদে বলেন, এখানে বিএনপির বন্ধুরা আছেন। পার্লামেন্টে অনেক সুন্দর সুন্দর কথা বলেন। আমরা বিস্মিত হয়ে যাই। এটা বিএনপি বলে, না অন্য কেউ। বাইরে গেলে তাদের চেহারা অন্যরকম। সম্পূর্ণ অন্য রকম। তাদের সঙ্গে বিএনপির আসল নেতৃত্বের কোনো সর্ম্পক আছে কি-না, আমার সন্দেহ হয়। এখানে যখন কথা বলেন, আমার মনে হয়, আওয়ামী লীগের প্রতিনিধিরা কথা বলছেন। যেমনভাবে কথা বলেন, মনে হয় কত সুন্দর। আর বাইরে গেলে অন্য চেহারা। আওয়ামী লীগের এজেন্ট হয়ে কাজ করছে কি-না, আমার সন্দেহ হয়।

দেশ পরিচালনার জন্য আরও ১০ বছর শেখ হাসিনাকে সুযোগ দিতে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, বিরোধী দলে থাকাকালীন আমরা নানাভাবে নির্যাতিত হয়েছি। ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থেকে আওয়ামী লীগ নির্যাতন করেনি। কিন্তু জামায়াতের সঙ্গে মিলে পাঁচ বছর হাওয়া ভবন থেকে আওয়ামী লীগের ওপর নির্যাতন করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২২০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২০
এসই/টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয় এর সর্বশেষ