সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজশাহী জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে ‘শহরের পাবলিক প্লেসে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নের বর্তমান অবস্থা’ শীর্ষক জরিপের ফলাফল প্রকাশ ও মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ ঘোষণা দেন।
হামিদুল হক বলেন, আমরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আশপাশে ধূমপান বন্ধে প্রথমে ক্যাম্পেইন পরিচালনা করেছি।
তিনি বলেন, রাজশাহীর সব সরকারি অফিস যাতে শতভাগ ধূমপানমুক্ত করা হয় সেজন্য প্রতিষ্ঠান প্রধানকে চিঠির মাধ্যমে বিষয়টি অবহিত করা হবে। এছাড়া জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ধূমপায়ীদের সতর্ক করতে রাজশাহী মহানগরের পাবলিক প্লেস ও পাবলিক পরিবহনে ধূমপানবিরোধী স্টিকার লাগানো হবে।
ধূমপান সর্বনাশা নেশা উল্লেখ করে জেলা প্রশাসক বলেন, ধূমপান হচ্ছে মাদকে প্রবেশের প্রথম ধাপ। তাই নতুন প্রজন্মকে তামাকপণ্যের ভয়াল থাবা থেকে আগে রক্ষা করার প্রয়োজনীয় উদ্যোগের অংশ হিসেবে আমাদের কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছি।
এদিকে রাজশাহীর উন্নয়ন সংস্থা অ্যাসোসিয়েশন ফর কম্যুনিটি ডেভেলপমেন্টের (এসিডি) তত্ত্বাবধানে গত বছরের জুন-সেপ্টেম্বরে এ জরিপটি পরিচালিত হয়। সোমবার তার ফলাফল প্রকাশ করা হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতেই জেলা প্রশাসক বেসলাইন জরিপের তথ্যচিত্রের মোড়ক উন্মোচন করেন। পরে পরিচালিত জরিপের ফলাফল উপস্থাপন করেন এসিডির অ্যাডভোকেসি অফিসার শরিফুল ইসলাম শামীম।
রাজশাহীর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু আসলামের সভাপতিত্বে ও এসিডির মিডিয়া ম্যানেজার আমজাদ হোসেন শিমুলের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন- রাজাশাহীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মুহাম্মদ শরিফুল হক, রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সচিব আবু হায়াত মো. রহমতুল্লাহ, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের রাজশাহী বিভাগীয় উপ-পরিচালক (ডিডি) মো. জাফরুল্লাহ কাজল, ভোক্তা অধিকার নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের রাজশাহী বিভাগীয় উপ-পরিচালক অপূর্ব অধিকারী, রাজশাহীর ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মো. আব্দুল মতিন।
এ সময় শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন এসিডির নির্বাহী পরিচালক সালীমা সারোয়ার। অন্যান্যের মধ্যে এসিডির তামাক নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের প্রোগ্রাম ম্যানেজার মোস্তফা কামাল উপস্থিত ছিলেন।
জরিপ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এসিডির তত্ত্বাবধানে রাজশাহী শহরের পাবলিক প্লেসে ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন বাস্তবায়নের বর্তমান অবস্থা যাচাইয়ের জন্য ‘ক্রস সেকশনাল’ পদ্ধতিতে একটি বেসলাইন জরিপ পরিচালিত হয়। রাজশাহী শহরের মোট ৭০২টি পাবলিক প্লেসে (১৫৪টি সরকারি অফিস, ১০৫টি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র, ১২৭টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ৩১৬টি রেস্টুরেন্ট) এ জরিপটি করা হয়েছে। জরিপে শহরের ৮৬ শতাংশ সরকারি অফিসে, ৮০ শতাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে, ৫১ শতাংশ স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে ও ৭৪ শতাংশ রেস্টুরেন্টে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন লঙ্ঘনের চিত্র উঠে এসেছে।
সভায় অন্য বক্তারা তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের অধিকতর বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানান।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২০
এসএস/আরবি/