ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

বাংলাবান্ধায় হ্যান্ড থার্মাল দিয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২০
বাংলাবান্ধায় হ্যান্ড থার্মাল দিয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষা

পঞ্চগড়: দেশের সর্ব উত্তরের একমাত্র চতুর্দেশীয় বন্দর বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে ভারত, নেপাল, ভুটান ফেরত যাত্রীদের নভেল 'করোনা ভাইরাস' শনাক্তকরণে মেডিক্যাল টিম বসানোর পরেও উৎকণ্ঠায় রয়েছেন স্থানীয়রা। 

জানা যায়, বন্দরে হ্যান্ড থার্মাল স্ক্যানার দিয়ে পাসপোর্টধারী যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হলেও ভারত, নেপাল ও ভুটান থেকে আসা পাথরবাহী ট্রাক চালকরা স্বাস্থ্য পরীক্ষা ছাড়াই প্রবেশ করছে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে। এতে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে পুরো জেলায়।

ট্রাকচালকদের মাধ্যমে যে কোনো সময় এ বন্দর দিয়ে প্রবেশ করতে পারে 'করোনা ভাইরাস' বলে মনে করছেন সচেতন মহল।

স্থানীয় হান্নান ও মাসুদ জানান, ভারত, নেপাল ও ভুটান থেকে আসা ট্রাক চালকরা স্বাস্থ্য পরীক্ষা ছাড়াই দেশে ঢুকে স্থানীয় বিভিন্ন হোটেল ও দোকানে খাবার খেয়ে থাকেন। এতে সহজেই প্রবেশ করতে পারে 'করোনা ভাইরাস'। যা স্থানীয় মানুষের মাধ্যমে সারাদেশে ছড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। চালকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হলে আতঙ্ক হয়তো কিছুটা কমবে।

সম্প্রতি চীনে 'করোনা ভাইরাস' মহামারি আকার ধারণ করায় রোগ প্রতিরোধে বাংলাদেশের প্রতিটি ইমিগ্রেশনের মত বাংলাবান্ধায়ও বসানো হয়েছে মেডিক্যাল টিম। তবে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে 'করোনা ভাইরাস' বা স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য উন্নত মানের যন্ত্রপাতি না থাকায় শুধু হ্যান্ড থার্মাল স্ক্যানার দিয়ে প্রাথমিকভাবে পাসপোর্টধারী যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে।  

২৮ জানুয়ারি (মঙ্গলবার) জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ বাংলাবান্ধা ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের একটি কক্ষে মেডিক্যাল টিমের কার্যক্রম চালু করে। ১১ দিন দুইটি থার্মোমিটার দিয়ে পাসপোর্টধারী যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হলেও গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে মিনি থামার্ল স্ক্যানার দিয়ে চলছে মেডিক্যাল ক্যাম্পের কার্যক্রম।  

মেডিক্যাল ক্যাম্পের স্বাস্থ্য সহকারী পরির্দশক আজিজার রহমান বাংলানিউজকে জানান, আমরা সব পাসপোর্টধারী যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে আসছি। কারোর মধ্যে জ্বর বা সর্দি দেখলে আমরা তাৎক্ষণিক তাকে রেফার করবো পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে। তবে এখন পর্যন্ত এ ধরনের কোনো রোগী শনাক্ত হয়নি।

বাংলাবান্ধা ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের দায়িত্বরত ভারপ্রাপ্ত পরিদর্শক আলতাফ হোসেন বাংলানিউজকে জানান, প্রতিদিন পাসপোর্টধারী যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর আমরা তাদের ইমিগ্রেশন কার্যক্রম সম্পন্ন করছি। তবে ভারত থেকে আসা ট্রাকচালকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে কিনা জানিনা। ট্রাক চালকরা স্থলবন্দর থেকে কার পাস নিয়ে যাতায়াত করছে। বিষয়টি বন্দর কর্তৃপক্ষের ও স্বাস্থ্য বিভাগের।

এদিকে পঞ্চগড় আমদানি-রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপাতি মেহেদী হাসান খান বাবলা জানান, এটা বন্দর কর্তৃপক্ষের বিষয়। কর্তৃপক্ষ চালকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নিলে আমরাও তাদের সহযোগিতা করব।

পঞ্চগড় সিভিল সার্জন ডা. ফজলুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য থার্মাল স্ক্যানার দেওয়া হয়েছে। আমরা শুধু জ্বরের রোগী দেখছি। তবে ভারত, নেপাল ও ভুটান থেকে আসা পাথরবাহী ট্রাক চালকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার দায়িত্ব ইমিগ্রেশন পুলিশের।  

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২০
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।