ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

মনু নদী ভাঙন রক্ষা প্রকল্প পাসের অপেক্ষায়

ডিভিশনাল সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৫৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২০
মনু নদী ভাঙন রক্ষা প্রকল্প পাসের অপেক্ষায়

মৌলভীবাজার: অবশেষে সুদৃষ্টি পড়েছে মনু নদীর ভাঙনরক্ষা প্রকল্পের উপর। মনু নদীর ভাঙন থেকে মৌলভীবাজার জেলার সদর, রাজনগর ও কুলাউড়া উপজেলা রক্ষা প্রকল্প শিগগিরই জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটিতে (একনেক) পাসের আশ্বাস দিয়েছেন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক। 

রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) মৌলভীবাজারে মনু নদীর চাঁদনীঘাট এলাকায় পরিদর্শন করে তিনি এ আশ্বাস দেন।  

এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক (ডিসি) নাজিয়া শিরিন, পুলিশ সুপার (এসপি) ফারুক আহমেদ, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রণেন্দ্র শংকর চক্রবর্তীসহ সরকারি দপ্তরের অন্য কর্মকর্তারা।

 

পরিদর্শন শেষে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক সাংবাদিকদের বলেন, আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে এটা একনেকে আসবে এবং আসার পর আলোচনা হয়ে পাস হবে। পাস হবে এজন্য, কারণ এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি নদী শহর রক্ষার জন্য। আমরা এই মঙ্গলবারের (১১ ফেব্রুয়ারি) পরের মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) আশা করতে পারি যে এটা একনেকে আলোচনা হবে। একনেকে পাস হওয়ার পর এটা আলোচনা হবে। তারপর যত শিগগিরই সম্ভব এটা টেন্ডার করে কাজটা শুরু করবো। বছর খানেক পরে এটা একটি ভালো পর্যায়ে চলে আসবে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, মনু নদীর ভাঙন থেকে মৌলভীবাজার জেলার সদর, রাজনগর ও কুলাউড়া উপজেলা রক্ষা প্রকল্প একনেকে পাসের অপেক্ষায় রয়েছে। সম্পূর্ণ সরকারি (জিওবি) অর্থায়নে এই প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় এক হাজার কোটি টাকা।  

এ বিষয়ে মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রণেন্দ্র শংকর চক্রবর্তী বাংলানিউজকে বলেন, প্রায় প্রতিবছরই এই তিনটি উপজেলার কোথাও না কোথাও মনু নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধ ভেঙে কমবেশি বন্যা নিয়ম হয়ে গেছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় ফসল, রাস্তাঘাট, ঘরবাড়িসহ মূল্যবান নানা স্থাপনা। বারবার বন্যার ছোবলে নিঃস্ব হয়ে পড়ছে নদীর দুই পাসের অনেক পরিবার। এই বাস্তবতায় পাউবো মৌলভীবাজার কার্যালয় মনু নদীর বন্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য একটি প্রকল্প নিয়েছে। অনুমোদনের পর এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে মনু নদীর বন্যা সমস্যার দীর্ঘমেয়াদি সমাধান হবে বলে আশা করছি।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০২০
বিবিবি/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।