ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

ড. কামালের বক্তব্য তার ব্যক্তিত্বের সঙ্গে সাংঘর্ষিক

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৪৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২০
ড. কামালের বক্তব্য তার ব্যক্তিত্বের সঙ্গে সাংঘর্ষিক

ঢাকা: ড. কামাল হোসেনের ‘সরকারকে টেনে নামাতে হবে’ বক্তব্যকে তার ব্যক্তিত্বের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর কাকরাইলে বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউট (পিআইবি) সেমিনার হলে সমবায় বিভাগের সহায়তায় বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস) আয়োজিত ‘শেখ হাসিনার দশ উদ্যোগ এবং উন্নয়ন সাংবাদিকতা’ বিষয়ে বাসস জেলা প্রতিনিধিদের দু’দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতা শেষে সাংবাদিকদের সমসাময়িক রাজনীতি বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।  

মন্ত্রী বলেন, তিনি (ড. কামাল হোসেন) গতকাল যে ভাষায় কথা বলেছেন, এটি তার ব্যক্তিত্বের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।

বাস্তব অবস্থা হচ্ছে, সরকারকে টেনে নামাতে গিয়ে তারাই পড়ে গেছেন। তার নিজের দলের মধ্যে যে অনৈক্য, আমি ড. কামাল হোসেনকে সবিনয়ে অনুরোধ জানাবো, তার দলের ঐক্যরক্ষা করার জন্য আরো মনোযোগী হতে।

এসময় সরকারের কাছে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি জানিয়ে বিএনপি মহাসচিবের বক্তব্যের বিষয়ে ড. হাছান বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর যে ভাষায় কথা বলেন, এতে আইন এবং আদালতের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করা হয়েছে। কারণ খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেওয়ার কোনো এখতিয়ার সরকারের নেই। সরকারের যদি খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে হয়, তাহলে তো প্রধানমন্ত্রীকে প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব পালন করতে হবে। সেটি তো সংবিধান অনুমোদন করে না।  

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ক্রমাগতভাবে বিএনপির আইন-আদালত তোয়াক্কা না করার বিষয়টি আইন প্রতিষ্ঠা করার ক্ষেত্রে বড় অন্তরায়। তাই মির্জা ফখরুল সহ বিএনপিকে বলবো এ ধরনের সমাবেশ করে হুমকি-ধামকি দিয়ে খালেদা জিয়ার মুক্তি কখনো মিলবে না, তাদের আইনী পথেই হাঁটতে হবে।

আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি বিএনপির বিক্ষোভের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, তারা বিক্ষোভ করতেই পারেন, কিন্তু সেই বিক্ষোভটি কার বিরুদ্ধে, সেটিই হচ্ছে প্রশ্ন। সেটি কী আদালতের বিরুদ্ধে! কারণ আদালতই খালেদা জিয়ার শাস্তি দিয়েছে। বিক্ষোভ তো তাহলে আদালতের বিরুদ্ধে।

বাসসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সচিব রেজাউল আহসান, তথ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব কামরুন নাহার ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এবং গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। আমার বাড়ি আমার খামার প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক আকবর হোসেন প্রকল্প সম্পর্কে হালনাগাদ তথ্য উপস্থাপন করেন।

ড. হাছান বলেন, প্রধানমন্ত্রী ‘আমার বাড়ি আমার খামার’, ‘পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক’, ‘আশ্রয়ন প্রকল্প’সহ যুগান্তকারী দশ উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন, যা রাষ্ট্রকে ধীরে ধীরে সমাজকল্যাণমূলক রাষ্ট্রে রূপান্তর করবে।

বাসস প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, বাসস একটি সরকারি সংবাদ সংস্থা। বাসসকে প্রধানমন্ত্রীর এই উদ্যোগগুলো মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে কারণ একটি রাষ্ট্র ও জাতি গঠনে মানুষকে আশাবাদী করে তুলতে হয়। হতাশাবাদী সমাজ ব্যবস্থা দিয়ে, হতাশাগ্রস্ত জনগোষ্ঠী দিয়ে রাষ্ট্রকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায় না। যখন মানুষ আশাবাদী হয় তখনই সেই রাষ্ট্র ও জাতিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সম্ভবপর হয়।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আমাদের মধ্যে কিছু মানুষ আছে মানুষের মধ্যে শুধু নৈরাজ্য ছড়ায়। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, আজ বাংলাদেশে আমাদের তরুণরা যেভাবে কাজ করছে, নিজেরা উদ্যোক্তা হচ্ছে, আর ১০ বছর পরে বাংলাদেশ এবং উন্নত দেশের মধ্যে পার্থক্য আর থাকবে না।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০২০
এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।