ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

সৈয়দপুরে অবৈধ রেলজমি উদ্ধারে ১০৩ নোটিশ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১২৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৯, ২০২০
সৈয়দপুরে অবৈধ রেলজমি উদ্ধারে ১০৩ নোটিশ

নীলফামারী: নীলফামারীর সৈয়দপুরে রেলের মোট ৮০০ একর জমির মধ্যে ব্যবহার করা হচ্ছে মাত্র ৩৭৩ একর। বাদবাকি জমির সিংহভাগই অবৈধ দখলদারদের করায়ত্ত। সম্প্রতি এসব জমি উদ্ধারের উদ্যোগ নিচ্ছে কর্তৃপক্ষ। এ জন্য ১০৩টি নোটিশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। 

এরই অংশ হিসেবে আগামী সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সৈয়দপুর রেলস্টেশন এলাকার সৈয়দপুর মৌজার ৩৭ নম্বর জেএল’র ৩৪ নম্বর দাগের দক্ষিণ অংশ (পৌরসভা বিরোধীয় ১.৮২৫ একর বাদে), ৩৩২ নম্বর দাগের সম্পূর্ণ ও নিয়ামতপুর মৌজার ৩৫ নম্বর জেএল’র ১০৯, ১১০ ও ১১১ নম্বর দাগের জমি উদ্ধারে নোটিশ দিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। এদিন উচ্ছেদ কর্মসূচিতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী মোতায়েন থাকবে।

 

রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে সৈয়দপুর শহরে রেলের ব্যবহৃত জমি বাদে বিভিন্নভাবে প্রায় ৪২৭ একর জমি অবৈধ দখলদারদের হাতে। এর মধ্যে কিছু জমি কৃষি ও জলাশয়ের নামে লিজ দেওয়া আছে। সৈয়দপুর পৌরসভা রেলওয়ের সঙ্গে চুক্তি মোতাবেক ২৫.৭৫ একর জমি ব্যবহার করছে। বাকি জমির ওপর অবৈধভাবে গড়ে তোলা হয়েছে বড় বড় ইমারত, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও ছোট শিল্প কারখানা। এছাড়া একটি বড় অংশে বস্তিবাসী ও ছিন্নমূল মানুষ বসবাস করছে। রেলওয়ের এসব অব্যবহৃত জমি চড়া দামে কেনা-বেচাও হয়। এর বাইরে বেশিরভাগ রেলওয়ে কোয়ার্টার ও বাংলোগুলো অবৈধ দখলদারদের করায়ত্ত। এখন রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করে জমিগুলো নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিতে চায়।

রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলের বিভাগীয় ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট মো. নুরুজ্জামান বলেন, জনগণের স্বার্থে এগুলো আমরা দখলে নেব। যারা শর্ত মেনে লিজ নিয়েছেন তাদের আমরা সুযোগ দেব। আর যারা শর্ত ভেঙেছেন তাদেরও হয়তো সংশোধনের সুযোগ দেব, অথবা উচ্ছেদ করব।  

পার্বতীপুর রেলকাচারী কানুনগো জিয়াউল হক বলেন, সৈয়দপুরে রেলওয়ের ৮০০ একর জমির মধ্যে কৃষিজমির জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৫ একর। জলাশয়ের জন্য দেওয়া আছে ২১.৩৮ একর। এছাড়া বাণিজ্যিক বরাদ্দ ১ একর ও পৌরসভার কাছে আছে ২৫.৭৫ একর।  

বাংলাদেশ সময়: ০৬২২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০২০ 
এমএ/এইচজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।