ঢাকা, শনিবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

সীমান্তে নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করবে দুই দেশ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৭, ২০২০
সীমান্তে নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করবে দুই দেশ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া: নিয়ম মেনেই ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলায় হয়ে গেল এক দিনব্যাপী ত্রিপুরা এবং বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী জেলার জেলা শাসক পর্যায়ের বৈঠক। 

বৈঠকে যোগ দিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা, হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ সরকারি কর্মকর্তাদের ৩০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল মঙ্গলবার আখাউড়া সীমান্ত দিয়ে আগরতলায় যায়।  

প্রতিনিধি দলটি বৃহস্পতিবার (০৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে আখাউড়া সীমান্তে দিয়ে বাংলাদেশে ফিরে আসে।

প্রতিনিধি দলের সদস্য ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক হায়াৎ উদ- দৌলা খানের সঙ্গে দু'দেশের সামগ্রিক বিষয় নিয়ে কথা হয় বাংলানিউজের প্রতিবেদকের সঙ্গে।

তিনি বলেন, সীমান্তে অনুপ্রবেশ এবং মাদকের যে প্রবেশ সেটি রোধকল্পে আরও নিবিড়ভাবে যাতে কাজ করা যায় এ বিষয়ে উভয় পক্ষ সীমান্তে নিরাপত্তা নিশ্চিতের লক্ষ্যে কাজ করবে। আগরতলা থেকে সোয়ারেজ পাইপের পানি আখাউড়া দিয়ে প্রবেশ করে, যা বাংলাদেশিদের নানা দুর্ভোগের সৃষ্টি করে, সেটি নিয়ে কথা হয়েছে। তারা বলেছে, আগামী এক বছরের মধ্যে একটি বক্স কালভার্ট তৈরি করে বিষাক্ত পানি পরিশোধন করে সেই পানি বক্স কালভার্ট দিয়ে প্রবাহিত করবে।

স্থলবন্দরের বিষয়ে তিনি বলেন, স্থলবন্দর উন্নয়নের লক্ষে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দুই পারের যাত্রীদের আসা যাওয়া যাতে প্রসারিত থাকে সেদিকেও খেয়াল রাখা হবে। একই সঙ্গে আখাউড়া-আগরতলা রেললাইন প্রকল্প যাতে দ্রুত সময়ে সম্পন্ন হয়, সে বিষয়েও আমরা কথা বলেছি। বাংলাদেশ ভারত-বন্ধু প্রতীম রাষ্ট্র। তাদের মধ্যে নাগরিক যাতায়াত, বাণিজ্য কীভাবে প্রসার ঘটানো যায় সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এবং উভয় পারের যারা সরকারি কর্মকর্তা আছেন তাদের মধ্যে একটা পারস্পরিক সম্পর্ক তৈরির জন্য চেষ্টা চলছে।

প্রতিনিধি দলের অন্য আরেক সদস্য জেলা পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান খান বাংলানিউজকে বলেন, মাদকের রোড ও উৎসস্থল এবং যারা পাচার করে তাদের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে ভারত আমাদের আশ্বাস দিয়েছে। মাদক শুধু বাংলাদেশে না ভারতেও সমস্যায় পরিণত হয়েছে। এটি নিরসনের জন্য যত ধরনের প্রচেষ্টা তা তারা গ্রহণ করছে। সুনিদিষ্টভাবে যেসব ভারতীয় নাগরিক মাদকের সঙ্গে জড়িত তাদের চিহ্নিত করতে পেরেছি। তাদের বিষয়ে একটি তালিকা তৈরি করে আমরা ভারতীয় কর্তৃপক্ষকে দিয়েছি। তারা বলেছে, যাচাই বাচাই করে মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রশাসনিক জটিলতা নিরসনে এ ধরনের আয়োজন খুবই গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবির) প্রতিনিধি লে. কর্নেল ফয়জুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, বিজিবি এবং বিএসএফ একই উদ্দেশে কাজ করে। আমরা সামনে আরও ভালভাবে যাতে সীমান্ত ব্যবস্থাপনা ও নজরদারী করতে পারি সে সব বিষয়েও কথা হয়েছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১১৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০২০
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয় এর সর্বশেষ