ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৩৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২০
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামী শাহীন মিয়াকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। 

মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল-১ আদালতের বিচারক মাফরোজা পারভীন এ রায় দেন।  

মামলা সূত্রে জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার বেতবাড়িয়া গ্রামের হাবিবুর রহমানের মেয়ে ফেরদৌসাকে ২০০৯ সালে সামাজিকভাবে বিয়ে করেন পৌর এলাকার গোকর্ণঘাট গ্রামের নাসির মিয়ার ছেলে মো. শাহিন মিয়া।

বিয়ের সময় দেড় ভরি স্বর্ণ, আসবাবপত্র ও নগদ টাকা নেন বরের বাবা। বিয়ের কিছুদিন পর বিদেশ যাবার কথা বলে স্ত্রী ফেরদৌসা বেগমকে বাবার বাড়ি থেকে টাকা এনে দিতে বলেন স্বামী শাহিন। পরে দেড় বছর পর ২০১১ সালে ২৩ এপ্রিল দুপুরে ফেরদৌসাকে সেই টাকা এনে দিতে চাপ দেন শাহিন। তখন ফেরদৌসা টাকা আনতে অস্বীকার করলে তাকে মারপিট শুরু করে শাহীন। সেদিন সন্ধ্যার দিকে পুরাতন শাড়ি দিয়ে ফেরদৌসাকে গলায় ফাঁস লাগিয়ে হত্যার পর ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখেন পাষণ্ড স্বামী শাহিন এবং প্রচার চালান আত্মহত্যা করেছেন ফেরদৌসা।  

এ ঘটনায় শাহীনকে প্রধান আসামি করে মোট চারজনের নামে হত্যা মামলা করেন ফেরদৌসার বাবা হাবিবুর রহমান। মামলার পর শাহীনকে পুলিশ গ্রেফতার করলে আদালতে ১৬৪ ধারা হত্যার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। পরে বাদী তিন আসামিকে মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়ে শুধুমাত্র শাহিনকে প্রধান অভিযুক্ত আসামি করা হয়। দীর্ঘ সাক্ষ্য-প্রমাণ শেষে অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় মঙ্গলবার এ রায় ঘোষণা করেন আদালত।

মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মফিজুর রহমান বাবুল রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে বাংলানিউজকে বলেন, এই রায় নারী নির্যযাতন ও হত্যার দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।

বিবাদীপক্ষের আইনজীবী ওসমাণ গণি বাংলানিউজকে বলেন, এ রায়ে আমরা সন্তুষ্ট না। ন্যায় বিচারের জন্য উচ্চ আদালতে আপিল করবো।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৪, ২০২০
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।