ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

রাজশাহীতে মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা, বইছে শৈত্যপ্রবাহ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২৩৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২০
রাজশাহীতে মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা, বইছে শৈত্যপ্রবাহ

রাজশাহী: রাজশাহী অঞ্চলের ওপর দিয়ে আবারও শুরু হয়েছে শৈত্যপ্রবাহ। তাপমাত্রার পারদ আবারও নেমেছে এক অংকের ঘরে।

সোমবার (০৩ ফেব্রুয়ারি) রাজশাহীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটিই চলতি মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বলে জানিয়েছে রাজশাহী আবহাওয়া অফিস।

এদিন দিনভর সূর্যের দেখা মিললেও তেজ ছিল না বললেই চলে। সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গে বইছে হিমেল হাওয়া। এতে উত্তর জনপদের জীবনযাত্রা অনেকটাই স্থবির হয়ে পড়েছে। হিমেল হাওয়া বয়ে যাওয়ার কারণে রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে শীতের তীব্রতাও।

শীতের হাত থেকে রেহাই পেতে পথের ধারে ও খোলা স্থানে ছিন্নমূল মানুষদের খরকুটোয় আগুন জ্বালিয়ে বসে থাকতে দেখা যাচ্ছে। আগুনের পরশে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন হতদরিদ্র মানুষ। হঠাৎ করে আবারও শৈত্যপ্রবাহ শুরু যাওয়ার বাড়ছে শীতজনিত রোগের প্রকোপও।

রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক দেবল কুমার মৈত্র বাংলানিউজকে জানান, চলতি বছরের শুরু থেকেই রাজশাহীতে তাপমাত্রা ওঠানামা করছে। সোমবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৩ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সকাল ৬টায় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৬ শতাংশ এবং সন্ধ্যা ৬টায় ৬৮ শতাংশ।

আজ রেকর্ডকৃত তাপমাত্রাই এ মৌসুমের সর্বনিম্ন বলে জানান তিনি। এর আগে রোববার (০২ ফেব্রুয়ারি) সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রোববার রাজশাহীর ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে গেলেও সোমবার তা মাঝারি শৈত্যপ্রবাহে রূপ নিয়েছে। আরও দুইদিন তা অব্যাহত থাকতে পারে। ফলে রাজশাহীতে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে বলেও পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে।

এদিকে, রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবহাওয়াবিদ কামাল উদ্দিন বলেন, এটিই হবে চলতি মৌসুমের শেষ শৈত্যপ্রবাহ। আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি রাজশাহীসহ বিভিন্ন স্থানে হালকা থেকে মাঝারি বর্ষণ হতে পারে। এরপর থেকে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ধীরে ধীরে বাড়বে বলেও উল্লেখ করেন এই আবহাওয়া কর্মকর্তা।

রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. সাইফুল ইসলাম ফেরদৌস জানান, ঠাণ্ডার প্রকোপ কমে গিয়েছিল। কিন্তু আবারও নতুনভাবে জেঁকে বসেছে শীত। হাসপাতালের আউটডোর ও ইনডোরে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা বেড়ে গেছে। অনেকেই কোল্ড ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। নবজাতক শিশুরা নিউমোনিয়াসহ সর্দি-কাশি, শ্বাসকষ্টে ভুগছে। বয়স্করা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

তিনি আরো বলেন, আউটডোরে প্রতিদিন ৩৫০-৪০০ শিশু চিকিৎসা নিচ্ছে। এছাড়াও ইনডোরে প্রতিদিন গড়ে ১৫০ থেকে ২০০ শিশু ও শ্বাসকষ্টজনিত রোগী ভর্তি হচ্ছেন।

এ সময় সবাইকে সর্তক অবলম্বন করতে হবে উল্লেখ করে শিশুদের  হালকা গরম পানি খাওয়ার পরামর্শ দেন এবং সবসময় শীতের কাপড় পড়ে থাকারও পরামর্শও দেন তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ২১৩৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০২০
এসএস/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।