ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

কার্যাদেশের মেয়াদ শেষ হলেও শুরু হয়নি নির্মাণকাজ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৪৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১, ২০২০
কার্যাদেশের মেয়াদ শেষ হলেও শুরু হয়নি নির্মাণকাজ

নাটোর: কার্যাদেশ পাওয়ার পরে মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও নাটোরের বড়াইগ্রামে ২৫ কিলোমিটারের বিভিন্ন সড়ক পাকাকরণ কাজ শুরুই করেননি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। এ কারণে সংশ্লিষ্ট এলাকার লাখো মানুষকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

তিনজন ঠিকাদারের দায়িত্বে রয়েছে এ নির্মাণকাজ। উপজেলা প্রকৌশলী বিভাগ থেকে বারবার তাগাদা দিয়েও কোনো ফল পাওয়া যাচ্ছে না।

সম্প্রতি উপজেলা পরিষদের মাসিক সমন্বয় সভায় এমন চিত্র তুলে ধরেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।

বড়াইগ্রাম উপজেলা প্রকৌশলী বিভাগ সূত্রে জানা যায়, নাটোরের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স ইসলাম কনস্ট্রাকশন চান্দাই হাট থেকে সাহেব বাজার পর্যন্ত ২ কিলোমিটার, কয়েন থেকে মশিন্দা পর্যন্ত ১ দশমিক ১ কিলোমিটার, জোনাইল থেকে ইন্দ্রাপাড়া পর্যন্ত ২ কিলোমিটার, চান্দাই কাশেম সরকারের বাড়ি থেকে চিকনাই নদী পর্যন্ত ৫ কিলোমিটার সড়ক পাকাকরণ কাজের কার্যাদেশ পান।  

আর মেসার্স এমএন ট্রেডার্স কার্যাদেশ পান উপজেলার বাগডোব হাট থেকে বনপাড়া অভিমুখে ২ কিলোমিটার, চৌমুহান থেকে দিঘইর অভিমুখে ২ দশমিক ১৫ কিলোমিটার, খাকসা তেঁতুল তলা থেকে দিঘলকান্দি অভিমুখে ১ দশমিক ৮ কিলোমিটার।  

অপরদিকে গুরুদাসপুরের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স আনোয়ার ট্রেডার্স নিজ নামে ৪টি কাজের ৮ কিলোমিটার ও অন্যদের থেকে কিনে নেওয়া ৫ কিলোমিটার সড়ক পাকাকরণ কাজের কার্যাদেশ পেয়েছেন গত বছর মার্চ মাসে।  

ওই কার্যাদেশের মেয়াদ চলতি জানুয়ারি মাসেই শেষ হয়ে গেছে। তারা কাজ শুরু না করে এখন প্রকৌশলীর দপ্তরে ঘুরছেন মেয়াদ বৃদ্ধি করার জন্য।

এ বিষয়ে কথা বলার জন্য মেসার্স ইসলাম কনস্ট্রাকশনের পার্টনার সোহেল রানা ও এমএ ট্রেডার্সের পরিচালক মীর্জা খোকনের সঙ্গে কথা বলতে তাদের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে পাওয়া যায়নি।  

এদিকে আনোয়ার ট্রেডার্সের পরিচালক আনোয়ার হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, বিভিন্ন কারণে কাজ শুরু করতে দেরি হয়ে গেছে। চলতি সপ্তাহের মধ্যেই কাজ শুরু করবো।

বড়াইগ্রাম উপজেলা প্রকৌশলী মো. আব্দুর রহিম বাংলানিউজকে বলেন, ঠিকাদারগণ বার বার প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করছেন। ফলে কার্যাদেশের মেয়াদ শেষ হলেও কাজ শুরু হচ্ছে না।

এলজিইডি নাটোরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শহিদুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, সব উপজেলা প্রকৌশলীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কার্যাদেশ পাওয়া ঠিকাদারদের চিঠি দিয়ে অবগত করতে। তারা দ্রুত কাজ শুরু না করলে প্রয়োজনে কার্যাদেশ বাতিল করে পুনরায় দরপত্র আহ্বান করা হবে।

নাটোর-৪ ( গুরুদাসপুর- বড়াইগ্রাম) আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস ক্ষোভ প্রকাশ করে বাংলানিউজকে বলেন, ঠিকাদারদের কারণে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাধাগ্রস্ত হচ্ছে এতে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে। এটা মানা যায় না। এসময় তিনি দোষীদের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নিয়ে প্রয়োজনে পুনরায় দরপত্র আহ্বানের নির্দেশ দেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১ ২০২০
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।