ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

বিএনপি মানেই হচ্ছে ‘বাংলাদেশ নাও পাকিস্তান’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২৩২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০২০
বিএনপি মানেই হচ্ছে ‘বাংলাদেশ নাও পাকিস্তান’

জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বিএনপিকে ষড়যন্ত্রের পথ ছেড়ে গণতন্ত্রের পথে ফিরে আসার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, বিএনপি মানেই হচ্ছে ‘বাংলাদেশ নাও পাকিস্তান’ (বাংলাদেশ এখন পাকিস্তান)।

মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে মতিয়া চৌধুরী একথা বলেন।

অধিবেশনে প্রথমে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী ও পরে ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়া।

সাবেক কৃষিমন্ত্রী বলেন, একজন ডাক্তার ভুল করলে একজন রোগী মারা যান, কিন্তু কোনো নেতা ভুল করলে সেই দলটি ছত্রখান হয়ে যায়।  খালেদা জিয়া অত্যন্ত সফলতার সঙ্গেই তার দলের মধ্যে সেই কাজটি করেছেন। তাই বিএনপিকে বলবো- গণতন্ত্রের চর্চা করুন, ষড়যন্ত্র বাদ দেন। অন্ধকারের পথ ছেড়ে আলোর পথে আসুন।

মতিয়া চৌধুরী মুজিববর্ষে জাতির পিতার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেন, ’৭৫-এর ১৫ আগস্টের পর সংবিধানকে বেয়নটের খোঁচায় ক্ষতবিক্ষত করে স্বাধীনতাবিরোধীদের ক্ষমতায় আনা হয়। বিএনপি মানেই হচ্ছে ‘বাংলাদেশ নাও পাকিস্তান’। এ দলটি গঠন করে জিয়া পাকিস্তানকে জানিয়ে দিল, তারা পরাজিত দেশটির সঙ্গেই আছে। দেশকে পাকিস্তানের পথেই নিয়ে যাবেন।

তিনি বলেন, বিএনপি ক্যাসিনো নিয়ে কথা বলে, কিন্তু ক্যাসিনোর প্রতিষ্ঠাতাই হচ্ছেন জিয়াউর রহমান। জাতির পিতা দেশে মদ-জুয়া নিষিদ্ধ করেছিলেন। কিন্তু বিসমিল্লাহ বলে সেই মদ-জুয়া ও লাকি খানের ঝাঁকি নৃত্যর প্রথম লাইসেন্স দেন এই জিয়াউর রহমান। আর তার পুত্র লন্ডনে পলাতক থাকা তারেক রহমানও তার আয়ের উৎস হিসেবে ক্যাসিনো থেকে আয় দেখিয়েছে।

‘বন্দুকের নলে ক্ষমতায় আসা, বন্দুকেই বিনাশ। হত্যার মাধ্যমে ক্ষমতায় আসা জিয়াউর রহমানকে সেই পথেই যেতে হয়েছে। বিএনপি যখনই ক্ষমতায় এসেছে তখনই নির্বিচারে মানুষকে হত্যা করেছে। ’

তিনি বলেন, হাওয়া ও খোয়াব ভবন খুলে তারেক রহমান কী করেছে তা দেশের মানুষ জানে। বিদ্যুৎ নেই, অথচ খাম্বা বাণিজ্য করেছে। আজ তারা গণতন্ত্রের কথা বলে? ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা করে আইভী রহমানসহ ২১ জনকে হত্যা করা হলো। এটা কার নির্দেশে করা হয়েছে তাও আদালতে প্রমাণ হয়েছে। যেমন বাবা-মা, তেমনি ছেলে (তারেক রহমান)। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখনই ক্ষমতায় আসে, তখনই দেশের মানুষ কিছু পায়। ৯৯-২০০০ সালেই বাংলাদেশ খাদ্য স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে।

মতিয়া বলেন, বিএনপির অনেক নেতা এখনও পাকিস্তানের জন্য মায়াকান্না করেন, কিন্তু পাকিস্তানের সংসদে বলা হয়- ‘হামকো বাংলাদেশ বানাদো’। তাই এখনও সময় আছে বিএনপির উচিত অন্ধকারের পথ ছেড়ে আলোর পথে আসা, ষড়যন্ত্রের পথ ছেড়ে দেওয়া। বিএনপিকে বলবো- গণতন্ত্রের চর্চা করেন, ষড়যন্ত্র বাদ দেন।

মতিয়া চৌধুরী ছাড়াও আলোচনায় অংশ নেন আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী, সাবেক গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী আশরাফুল আলী খান খসরু, সরকারিদলের আবদুল হাই, এস এম শাহজাদা, নাজিম উদ্দিন আহমেদ, সিমিন হোসেন রিমি, মেজর জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ সুবিদ আলী ভুঁইয়া, বিকল্প ধারা বাংলাদেশের মহাসচিব মেজর (অব.) আবদুল মান্নান এবং বিরোধীদল জাতীয় পার্টির ডা. রুস্তম আলী ফরাজী।

বাংলাদেশ সময়: ২১৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০২০
এসই/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।