ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

‘টেক ব্যাক বাংলাদেশ’ হোক জাতির মূলমন্ত্র: রিজভী

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০২০
‘টেক ব্যাক বাংলাদেশ’ হোক জাতির মূলমন্ত্র: রিজভী

ঢাকা: জাতি ‘দুঃসময়’ পার করছে দাবি করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, এই দুঃসময়ে গোটা জাতির মূলমন্ত্র হোক ‘টেক ব্যাক বাংলাদেশ’। এ আন্দোলন মাতৃভূমি রক্ষার আন্দোলন। জনগণের বাংলাদেশ জনগণের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার আন্দোলন।

মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনের দলীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

এতে রিজভী বলেন, তারেক রহমান রোববার (১৯ জানুয়ারি) লন্ডনে দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকীর জনাকীর্ণ আলোচনা সভায় মাতৃভূমির ভৌগোলিক স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় ‘টেক ব্যাক বাংলাদেশ’ আন্দোলনে রাজপথে নামতে জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

 

‘তিনি রাজপথে নামার যে ডাক দিয়েছেন, তাতে দল-মত নির্বিশেষে দেশপ্রেমিক প্রতিটি মানুষকে এক কাতারে এসে সাড়া দিতে ও সবাইকে সক্রিয় শরিক হতে আহ্বান জানাচ্ছি। দেশের স্বার্থে দলমত ভুলে সবাই ঐক্যবদ্ধ না হলে অস্তিত্ব সংকটে পড়বে বাংলাদেশ। তখন আর কিছু করার থাকবে না। ’

বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, তারেক রহমান বলেছেন, দূর থেকে নিরাপদে বসে সমালোচনা করা যায়। যারা সমালোচনা করছেন আপনাদের যদি দেশের ও স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্বের এই ক্রান্তিকালে পাশে না পাই তবে সম্মানের সঙ্গে জানাতে চাই-কয়দিন পর আপনাদের কথা বলার অধিকারও থাকবে না।  

‘এখনও নিশিরাতের সরকারের জেল জুলুম হয়রানি উপেক্ষা করে বিএনপি এবং বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরাই দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে সক্রিয়। বিএনপির পাশে থেকে প্রত্যেকটি সচেতন মহল ও সমালোচকদের আন্দোলনে রাজপথে থাকার আহ্বান জানাচ্ছি। ’

চট্টগ্রামের লালদীঘি মাঠে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে গুলি করে হত্যাচেষ্টা এবং ২৪ জনকে হত্যার ঘটনায় সোমবার (২০ জানুয়ারি) রায় ঘোষিত হয়েছে।  

এ রায়ের প্রতিক্রিয়ায় রিজভী বলেন, এই মর্মান্তিক ঘটনাটি যখন ঘটে তখন এরশাদ ক্ষমতায় ছিলেন। পরে আবার সেই হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদই ছিল আওয়ামী লীগের বড় সহযোগী। কিন্তু এরশাদসহ সেই সময় ক্ষমতাসীনদের কারো এই মামলায় নাম ছিল না।  

‘২০০১ সালের ২০ জানুয়ারি ঐতিহাসিক পল্টন ময়দানে হামলায় কয়েকজনের প্রাণহানি এবং বেশ কিছু সংখ্যক মানুষের আহত হওয়ার মর্মান্তিক ঘটনায় গতকাল (মঙ্গলবার) ১০ জনকে মৃত্যুদণ্ডও দেওয়া হয়েছে। এই রক্তাক্ত ঘটনাটি ঘটেছে আওয়ামী লীগ ক্ষমতাসীন থাকা অবস্থায়। ’

রিজভী বলেন, আমাদের বক্তব্য, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় বিএনপি আমলে সংঘটিত হওয়ার জন্য দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানসহ গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের আসামি করা হয়েছে, এটি যে সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, সেটি আবারও প্রমাণিত হলো সিপিবি সমাবেশের হামলা মামলায় আদালতের রায়ের মাধ্যমে।  

‘আওয়ামী লীগ তাদের রাজনৈতিক প্রয়োজনে যখন যা ইচ্ছে সেটি-ই করতে পারে বলেই প্রমাণিত হয়েছে,’ অভিযোগ করেন তিনি।  

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০২০
এমএইচ/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।