ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

সংবাদমাধ্যম অবাধ স্বাধীনতা ভোগ করছে

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৫৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০২০
সংবাদমাধ্যম অবাধ স্বাধীনতা ভোগ করছে

জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় স্বাধীনভাবে সংবাদ প্রচারের ক্ষেত্রে সরকার কোনো রকম হস্তক্ষেপ করছে না বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

বর্তমান সরকারের সময় সংবাদপত্র ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া অবাধ স্বাধীনতা ভোগ করছে এবং গণমাধ্যমকর্মী আইন চূড়ান্তকরণের কাজও শেষ পর্যায়ে রয়েছে বলেও তিনি জানান।

সোমবার (২০ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে মন্ত্রীদের জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে আওয়ামী লীগের সদস্য আফজাল হোসেনের এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে তথ্যমন্ত্রী একথা জানান।

এসময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন। সোমবারের প্রশ্নোত্তর পর্ব টেবিলে উত্থাপিত হয়।

মন্ত্রী জানান, দেশের জাতীয় উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত করা হয়েছে। বর্তমান সরকারের মেয়াদে জাতীয় তথ্য বাতায়ন এবং ইউনিয়ন তথ্য ও সেবাকেন্দ্র চালু করে তথ্যসেবাকে জনগণের দোরগোড়ায় নেওয়া হয়েছে। সরকার জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা, তথ্য অধিকার আইন প্রণয়ন ও তথ্য কমিশন প্রতিষ্ঠাসহ অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা প্রণয়ন করেছে। গণমাধ্যমবান্ধব সরকারের উদার সম্প্রচার নীতিমালার কারণে বর্তমানে বেসরকারি খাতে ৪৪টি টেলিভিশন, ২২টি এফএম রেডিও এবং ৩৩টি কমিউনিটি রেডিও চ্যানেলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

তিনি জানান, অনলাইন গণমাধ্যমের রেজিস্ট্রেশনের জন্য আবেদন জমা পড়েছে। সম্প্রচার ও গণমাধ্যম সংক্রান্ত নীতিমালা ইতোমধ্যে প্রণীত হয়েছে। নীতিমালা অনুযায়ী কার্যক্রম বাস্তবায়নের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। অনলাইন গণমাধ্যম রেজিস্ট্রেশনের জন্য আবেদন জমাদান ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাস থেকে শুরু হয়েছে। এই পর্যন্ত ৩ হাজার ৫৯৭টি রেজিস্ট্রেশনের জন্য আবেদন করেছে। প্রাপ্ত আবেদনপত্র যাচাই-বাছাই করে তালিকাসহ তথ্য মন্ত্রণালয়ে পরবর্তী কার্যক্রম নেওয়া জন্য পাঠানো হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, জনগণের তথ্যপ্রাপ্তির অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রণীত তথ্য অধিকার আইন বলবত রয়েছে এবং জনগণ এর সুফল ভোগ করছে। সংবাদপত্র ও সাংবাদিকদের মানোন্নয়নের জন্য পিআইবি, গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট ও বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের মাধ্যমে সারা বছরব্যাপী প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এছাড়া সাংবাদিকদের সহায়তার জন্য সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট, ইলেকট্টনিক মিডিয়ার উন্নয়নের জন্য আলাদাভাবে চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।

আওয়ামী লীগের সদস্য নাছিমুল আলম চৌধুরীর অপর এক প্রশ্নের উত্তরে তথ্যমন্ত্রী জানান, সব সংবাদপত্রের কর্মীদের ৪৫ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সরকার ইতোমধ্যে নবম ওয়েজবোর্ডের গেজেট প্রকাশ করেছে। এছাড়া ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়ন ছাড়া পত্রিকাগুলোকে ওয়েজবোর্ডপ্রাপ্তদের সমান হারে বিজ্ঞাপন হার দেওয়ার পদক্ষেপ নিয়েছে। এসব পদক্ষেপের ফলে সারাদেশের সাংবাদিকতার মানোন্নয়নের প্রভূত কল্যাণ সাধিত হবে বলে আশা করা যায়।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০২০
এসকে/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।