ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

মেহেরপুরের ভাষাসৈনিক নাজির হোসেন আর নেই

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০২০
মেহেরপুরের ভাষাসৈনিক নাজির হোসেন আর নেই

মেহেরপুর: মেহেরপুরের ভাষাসৈনিক নজির হোসেন বিশ্বাস আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। শনিবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুর ১টা ১০ মিনিটে মেহেরপুর সদর উপজেলার পিরোজপুর গ্রামের নিজ বাসভবনে তার মৃত্যু হয়। তার বয়স হয়েছিল (৮৩) বছর।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, বেশ কিছুদিন ধরে ভাষাসৈনিক নজির হোসেন বিশ্বাস বার্ধক্যজনিত কারণে নানা রোগে ভুগছিলেন। বেশি অসুস্থ হয়ে পড়লে সম্প্রতি তাকে মেহেরপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল ভর্তি করা হয়।

চিকিৎসার পর তার অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলে বাড়িতে নিয়ে আসেন পরিবারের লোকজন। পরে আজ দুপুরে তিনি আবারও অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরিবারের লোকজন তাকে হাসপাতালে নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এসময় তিনি মারা যান।  তিনি স্ত্রী, চার ছেলে ও তিন মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

ভাষাসৈনিক নাজির হোসেন ১৯৫৩ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি পালন করতে গিয়ে পুলিশের হাতে আটক হয়ে কারাবরণ করেন। ১৯৫৫ সালে মেহেরপুর উচ্চ মাধ্যমিক ইংরেজি মডেল স্কুলের ছাত্ররা একুশে ফেব্রুয়ারি পালন করতে রাষ্ট্র ভাষা বাংলার দাবিতে মিছিল নিয়ে বের হয়। এসময় শিক্ষকরা শত বাধা ও ভয়ভীতি দেখিয়েও তাদের একুশে ফেব্রুয়ারি পালন বন্ধ করতে পারেননি।

শিক্ষকদের আদেশ অমান্য করে একুশে ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে নাজির হোসেন বিশ্বাসসহ সামসুল আলা, গোলাম কবির, আবুল কাশেম, আঙ্গুর, কদম রসুল ও ইসমাইল হোসেনসহ ছাত্ররা মিছিল করে। এ অপরাধে রাতেই তাদের আটক করা হয়। পরে বিদ্যালয় থেকে তাদের রাসটিকেট দিয়ে বের করে দেওয়া হয়। সে সময় নাজির হোসেন ছিলেন অষ্টম শ্রেণির ছাত্র।

ভাষা সৈনিক নাজির হোসেনের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ সরকারের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন দোদুল, মেহেরপুর-২ (গাংনী) আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামান খোকন, জেলা প্রশাসক আতাউল গনি, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম রসুলসহ বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতারা।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০২০
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।