ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ক্ষণগণনায় রাজশাহীর সড়কে জনস্রোত

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১০৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০২০
ক্ষণগণনায় রাজশাহীর সড়কে জনস্রোত লোকে লোকারণ্য সড়ক। ছবি: বাংলানিউজ

রাজশাহী: রাজধানীর তেজগাঁওয়ের জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) বিকেলে জাঁকালো অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন ক্ষণগণনা উদ্বোধন করেন, তখন জনস্রোত নেমেছিল রাজশাহীর রাজপথে। নগর ভবন থেকে মূল অনুষ্ঠানসূচি সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। এছাড়া সাহেব বাজার জিরো পয়েন্ট থেকেও অনুষ্ঠানটি সরাসরি দেখানোর ব্যবস্থা ছিল। এ দুই জায়গা ঘিরে প্রায় পুরো শহরের মানুষ সড়কে নেমে মেতে ওঠেন অনন্য এক উৎসবে। সাপ্তাহিক ছুটির দিন হলেও এসময় প্রধান সড়কগুলোতে দেখা যায় তীব্র যানজট। 

আয়োজনে প্রতীকী বিমান অবতরণ ছাড়াও যে আলোক প্রক্ষেপণে বঙ্গবন্ধুর অবয়ব তুলে ধরা হয়, নগর ভবন এলাকায় থাকা বিশাল পর্দায় তা দেখতে উৎসুক জনতা ভিড় জমায় পুরো সড়কজুড়ে। দুপুরের পর থেকেই বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে নেতাকর্মীরা খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সেখানে জড়ো হন।

ফলে মিছিলের নগরীতে পরিণত হয় রাজশাহী। মূল অনুষ্ঠান শুরুর আগে তারা মুহূর্মুহূ ‘জয় বাংলা’ স্লোগানে প্রকম্পিত হয় গোটা এলাকা। এর আগে দুপুর থেকেই সড়কটি বন্ধ রাখা হয়।  

রাজশাহী মহানগরী ছাড়াও জেলার নয়টি উপজেলাতে নয়টি ক্ষণগণনা যন্ত্র বসানো হয়েছে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকেও ক্যাম্পাসে একটি যন্ত্র বসানো হয়েছে। বিকেলে প্রধানমন্ত্রী ক্ষণগণনা উদ্বোধনের সঙ্গে সঙ্গেই যন্ত্রগুলোতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে জন্মশতবার্ষিকীর ক্ষণগণনা শুরু হয়ে যায়।  

রাজশাহী নগর ভবনের মূল অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, বিশেষ অতিথি ছিলেন রাজশাহীস্থ ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনের সহকারী হাইকমিশনার সঞ্জীব কুমার ভাটি, বিভাগীয় কমিশনার হুমায়ুন কবীর খোন্দকার, পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) একেএম হাফিজ আক্তার, রাজশাহী মহানগর পুলিশ কমিশনার হুমায়ুন কবীর, জেলা প্রশাসক হামিদুল হক, জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শহিদুল্লাহ, বিজিবি-১ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফেরদৌস জিয়াউদ্দিন মাহমুদ।

নগর ভবনে অনুষ্ঠান উদ্বোধন করছেন মেয়র।  ছবি: বাংলানিউজ

এছাড়া বিভাগীয় ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাসহ অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী, জনপ্রতিনিধি এবং মহানগরীর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।  

প্রধানমন্ত্রী ক্ষণগণনা উদ্বোধনের পর সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন রাজশাহী সিটি মেয়র। এসময় তিনি সবাইকে মুজিববর্ষের আগাম শুভেচ্ছা জানান।

মুজিববর্ষের ক্ষণগণনার অনুষ্ঠান উপলক্ষে মহানগরীতে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়। পুলিশের পাশাপাশি অন্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদেরও দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায়। সতর্ক অবস্থায় ছিলেন নগর পুলিশের ক্রাইসিস রেসপন্স টিমের (সিআরটি) সদস্যরাও।  

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে ২০২১ সালের ২৬ মার্চ ‘মুজিববর্ষ’ ঘোষণা করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২০০৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০২০
এসএস/একে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।