ঢাকা, শুক্রবার, ২৫ আশ্বিন ১৪৩২, ১০ অক্টোবর ২০২৫, ১৭ রবিউস সানি ১৪৪৭

জাতীয়

‘দেশপ্রেমকে জীবনের অংশ হিসেবে নিয়েছিলেন মোয়াজ্জেম আলী’

ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১:১৯, জানুয়ারি ৯, ২০২০
‘দেশপ্রেমকে জীবনের অংশ হিসেবে নিয়েছিলেন মোয়াজ্জেম আলী’

ঢাকা: ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের সাবেক হাইকমিশনার ও  সাবেক পররাষ্ট্র সচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলীর জীবন, কর্ম ও আদর্শ আমাদের জন্য অনুকরণীয়। তার জীবন থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে। তার মতো বিচক্ষণ লোক কমই রয়েছে। দেশপ্রেমকে জীবনের অংশ হিসেবে নিয়েছিলেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (০৯ জানুয়ারি) সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলীর স্মরণসভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আয়োজিত ওই স্মরণসভায় বক্তব্য দেন সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন প্রমুখ।

স্মরণসভায় সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত বলেন,  আমার দাদা ও মোয়াজ্জেম আলীর দাদা ঘনিষ্ঠ ছিলেন। মোয়াজ্জেম আলীর দাদা, চাচা, ফুফু আমাদের দাদা বাড়িতে থাকতেন। ছোট বেলা থেকেই তাদের পরিবারের লোকজনের সঙ্গে আমাদের ঘনিষ্ঠতা ছিল।  

‘প্রথমে আমরা ভেবেছিলাম, তারা এমনিতেই আমাদের বাড়িতে থাকতেন। পরে জেনেছি মোয়াজ্জেম আলীর দাদা আমাদের বাড়িতে থাকার জন্য দুই টাকা ভাড়া দিতেন। ’

তিনি বলেন, মোয়াজ্জেম আলীর মধ্যে দেশপ্রেম ছিল। তিনি দেশপ্রেমকে জীবনের অংশ হিসেবে নিয়েছিলেন। এখন অনেকের মধ্যে দেশপ্রেম দেখি না। যাদের মধ্যে দেশপ্রেম নেই, তাদের জাহাজে ভরে এদেশ থেকে অন্য কোথাও পাঠিয়ে দিতে ইচ্ছা করে। তবে এও বুঝি, এটা হবার নয়।

পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, মোয়াজ্জেম আলী একটি মর্যাদাপূর্ণ জীবন যাপন করে গেছেন। উনাকে আমরা ভীষণভাবে অনুভব করি। তার আদর্শ নিয়েই আমরা এগিয়ে যেতে চাই।  

‘পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ার পর প্রথম যার কাছ থেকে ফোন পাই, তিনি হলেন মোয়াজ্জেম আলী। আমি তার আত্মার শান্তি কামনা করি। ’

অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, মোয়াজ্জেম আলী সম্পর্কে বলার মতো যোগ্যতা আমার রয়েছে কি-না জানি না। তিনি ছিলেন বিশাল মাপের একজন মানুষ। তার মতো মানুষ এখন খুব কমই রয়েছে।  

‘কোনো কোনো মানুষকে প্রথম দেখার পর আপন মনে হয়। মোয়াজ্জেম আলী ঠিক তেমনই মানুষ ছিলেন। তার চলে যাওয়া আমাদের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি। ,’ যোগ করেন তিনি।  

স্মরণসভায় আরো বক্তব্য দেন সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরী, সাবেক পররাষ্ট্র সচিব তৌহিদ হোসেন, সাবেক রাষ্ট্রদূত ফারুক সোবহান, কূটনীতিক সি এম শফি সামি, মোয়াজ্জেম আলীর ছোটভাই সৈয়দ রুহুল আমিন প্রমুখ।

সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী গত ৩০ ডিসেম্বর ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তার বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর।  

১৯৪৪ সালের ১৮ জুলাই সিলেটে জন্ম নেওয়া মোয়াজ্জেম আলী ১৯৬৮ সালে তৎকালীন পাকিস্তান পররাষ্ট্র সার্ভিসে যোগ দেন। অবসর গ্রহণের পর সর্বশেষ তিনি ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১৩ ঘণ্টা,  জানুয়ারি ০৯, ২০১৯
টিআর/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।