ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে বগুড়ায় সমাবেশ ও মানববন্ধন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৯, ২০২০
ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে বগুড়ায় সমাবেশ ও মানববন্ধন ধর্ষকের দ্রুত বিচারের দাবিতে বগুড়ায় সমাবেশ ও মানববন্ধন। ছবি: বাংলানিউজ

বগুড়া: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় ধর্ষকের দ্রুত বিচার সম্পন্ন করে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা এবং সারাদেশে ধর্ষণ বন্ধ করতে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে আইন প্রণয়ন করার দাবিতে বগুড়ায় মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছে সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরাম ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট।

বৃহস্পতিবার (০৯ জানুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টায় শহরের প্রাণকেন্দ্র সাতমাথায় এ মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় ধর্ষকের বিচার দ্রুত সম্পন্ন করে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা ও সারাদেশে ধর্ষণ বন্ধ করতে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে আইন প্রণয়ন করার দাবি জানানো হয়।

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাসদ বগুড়া জেলা আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম পল্টু, মহিলা ফোরাম জেলা নেতা রাধা রানী বর্মন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট জেলা সভাপতি ধনঞ্জয় বর্মন, মহিলা ফোরাম জেলা সদস্য আকলিমা বেগম, ছাত্র ফ্রন্ট জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক মুক্তা আক্তার মীম, অর্থ সম্পাদক নিয়তি সরকার নিতু প্রমুখ।

বাসদ বগুড়া জেলা আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম পল্টু বলেন, আমরা একের পর এক ধর্ষণ দেখছি আর আতঙ্কিত হচ্ছি। যদি আমরা প্রত্যেক ধর্ষকের বিচার ও শাস্তি দেখতাম তাহলে হয়তো ধর্ষণের ঘটনা ২০১৯ সালে পূর্বের বছরের চেয়ে দ্বিগুণ হতো না। সেই সঙ্গে ঢাবি ছাত্রী যেভাবে ধর্ষিত হলেন, তাতে সর্বস্তরে দাবি উঠেছে ধর্ষকের ফাঁসি হতে হবে। কিন্তু আইনে ভিকটিমের মৃত্যু না হলে মৃত্যুদণ্ডের কোনো বিধান নেই। কাজেই আজ ধর্ষণ যেভাবে মহামারী রূপ নিয়েছে, সেটি বন্ধ করতে হলে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড রেখে আইন প্রণয়ন করা প্রয়োজন। অন্যদিকে ধর্ষণের ঘটনায় যতগুলো মামলা হয়, ততগুলো মামলার শেষ পর্যন্ত বিচার হয় না। সমীক্ষায় দেখা গেছে মাত্র তিন শতাংশ মামলা বিচারের মুখ দেখে। বিচারহীনতার এ অপসংস্কৃতি থেকে বেড়িয়ে আসা জরুরি।

সমাবেশে অন্য বক্তারা বলেন, নারী-শিশু ধর্ষিত হলে সেই নারী বা শিশুকে প্রশ্নে জর্জরিত না করে কেন দেশে ধর্ষকের সংখ্যা বাড়ছে, সেটার দিকে মনযোগ দেওয়া দরকার। নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হলে তাদের প্রতি অধস্তন মনোভাব দূর করতে হবে, ভোগের মানসিকতা দূর করতে হবে। নারীদের পণ্য হিসেবে ব্যবহার করা বন্ধ করতে হবে। সিনেমা, পোস্টার, নাটক, সাহিত্য ও ওয়াজ মহাফিলে তাদের অশ্লীলভাবে উপস্থাপন বন্ধ করতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৯, ২০২০
কেইউএ/এফএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।