ঢাকা: ১৯৯০ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি ময়মনসিংহের ত্রিশাল থানার পূরবী সিনেমা হলের কাছে গুলিবর্ষণ করে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দায়ের করা অস্ত্র আইনের মামলায় নিষিদ্ধ ঘোষিত ফ্রিডম পার্টির ২২ নেতাকর্মীকে ৭ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সোমবার দুপুর ১২টায় ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইবুনাল-৪ এর বিচারক রেজাউল ইসলাম এ রায় প্রদান করেন।
রায় ঘোষণাকালে মামলায় গ্রেপ্তারকৃত একমাত্র আসামি মেজর (অব.) জয়নাল আবেদীনকে আদালতে হাজির করা হয়। বাকি ২১ আসামি পলাতক রয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ১৯৯০ সালের ১১ ফেব্র“য়ারি রাত সাড়ে সাতটার দিকে ফ্রিডম পার্টির অস্ত্রধারী ৪০ জন নেতা-কর্মী ত্রিশাল থানার পূরবী সিনেমা হলের সামনে খেচু মিয়ার চায়ের দোকানে গিয়ে ৪০ কাপ চায়ের অর্ডার দেয়। এ সময় সাধারণ পোশাকে অস্ত্রধারী লোকজন দেখে উৎসুক স্থানীয় জনতা তাদের কাছে সমবেত হয়। একপর্যায়ে আসামিদের মধ্য থেকে একজন তার সঙ্গীদেরকে জনতার ওপর গুলি করার নির্দেশ দেয়। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে হারুনুর রশিদ নামে একজন ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান। এ সময় আহত হন আরও ৫ জন ।
অপরদিকে হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে অস্ত্রধারীরা তাদের সঙ্গে থাকা মাইক্রোবাস ও প্রাইভেট কারযোগে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় ত্রিশাল থানায় হত্যা ও অস্ত্র আইনে পৃথক দু’টি মালা দায়ের করা হয়। হত্যা মামলাটি ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাবুনাল-২ এ বিচারাধীন আছে।
অস্ত্র আইনের মামলাটি তদন্ত শেষে ২৩ জনকে আসামি করে ময়মনসিংহের সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার ইসমাইল হোসেন আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মোট ২৩ আসামির মধ্যে ফ্রিডম পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান বজলুল হুদা মারা যাওয়ায় তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
অভিযোগপত্রে ২১ সাক্ষীর মধ্যে আদালতে ১২ জন সাক্ষ্য দেন। রাষ্ট্রপে মামলা পরিচালনা করেন বিশেষ সরকারি কৌঁসুলি রফিকুল ইসলাম।
বাংলাদেশ সময়: ১২২৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৬, ২০১০