ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামালের ৭২ তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২১২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৬, ২০১৯
বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামালের ৭২ তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামালের ৭২ তম জন্মবার্ষিকীতে কেক কাটছেন তার মা মালেকা বেগম। ছবি: বাংলানিউজ

ভোলা: নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে ভোলায় বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামালের ৭২ তম জন্মবার্ষিকী উদযাপিত হয়েছে।

এ উপলক্ষে সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) দুপুরে শহরের আলীনগর ইউনিয়নের মৌটুপি গ্রামে বীরশ্রেষ্ঠর বাসভবন ‘শহীদ স্মরণিকা’য় কেক কাটা হয়।

বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামালের মা মালেকা বেগম কেক কেটে ছেলের জন্মবার্ষিকী উদযাপন করেন।

এ সময় বীরশ্রেষ্ঠর ভাই মোস্তাফিজুর রহমান, ভাতিজা অধ্যক্ষ মো. সেলিম, ভাগিনা আতিক সিহাবসহ পরিবারের সদস্য ও বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল মহাবিদ্যালয়ের শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে সকালে বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল মহাবিদ্যালয়ের আয়োজনে মহান বিজয় দিবস ও বীরশ্রেষ্ঠর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা, দোয়া অনুষ্ঠান এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে দেশাত্মবোধক গান, রচনা ও কবিতা আবৃত্তির প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।  
কলেজ অধ্যক্ষ মো. সেলিমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ শিক্ষক-কর্মচারী ফোরামের সভাপতি সাইদুল হাসান সেলিম, দক্ষিণ আলীনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ, লঙ্কা বাংলা প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপক মো. রাশেদ হায়দার, বাংলানিউজের ভোলা প্রতিনিধি ছোটন সাহা প্রমুখ।  

অনুষ্ঠানে উপস্থাপনা করেন কলেজের প্রভাষক মাইনুদ্দিন ও মাকসুদুর রহমান তুহিন।  

পরে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বীরশ্রেষ্ঠর জীবনীর উপর রচনা প্রতিযোগিতা, দেশাত্মকবোধক গান, কবিতা আবৃত্তি ও উপস্থিত বক্তৃতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
  
১৯৪৭ সালের এই দিনে দ্বীপ জেলা ভোলার দৌলতখান উপজেলার হাজীপুর গ্রামে জন্ম নিয়েছিলেন স্বাধীনতা যুদ্ধের মৃত্যুঞ্জয়ী সৈনিক বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল। তার বাবা হাবিবুর রহমান ছিলেন হাবিলদার। মা মালেকা বেগম।

হাবিলদার হাবিবুর রহমানের দুই ছেলে ও তিন মেয়ের মধ্যে মোস্তফা কামাল ছিলেন সবার বড়। মহান মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সঙ্গে সম্মুখযুদ্ধে শহীদ হয়েছিলেন মোস্তফা কামাল।
মোস্তফা কামালের স্ত্রী পিয়ারা বেগম ২০০৬ সালে ও একমাত্র ছেলে মোশারেফ হোসেন বাচ্চু ১৯৯৫ সালে মারা যান। পুত্রবধূ পারভিন আক্তার মুক্তি বেঁচে থাকলেও নাতনি অনামিকা ২০০৪ সালে আগুনে পুড়ে মারা গেছেন।

১৯৮২ সালে মেঘনা নদীর ভাঙনে দৌলতখানের বাড়িটি বিলীন হয়ে গেলে ভোলা সদরের মৌটুপী গ্রামে চলে আসেন তার পরিবারের সদস্যরা।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৫৫ পদাতিক ডিভিশন সেখানে ৯২ শতাংশ জমিতে ‘শহীদ স্মরণিকা’ নামে একতলা পাকা ভবন নির্মাণ করে বীরশ্রেষ্ঠর পরিবারটিকে পুনর্বাসন করে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৬, ২০১৯
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয় এর সর্বশেষ