ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

বিজয় দিবসে খুলনায় জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৬, ২০১৯
বিজয় দিবসে খুলনায় জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ গল্লামারী শহীদ স্মৃতিসৌধে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের পুষ্পস্তবক অর্পণ। ছবি: বাংলানিউজ

খুলনা: খুলনায় যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপিত হচ্ছে মহান বিজয় দিবস।

সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) ভোর সাড়ে ৬টা থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে খুলনা জেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের পক্ষ থেকে গল্লামারী শহীদ স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের স্মরণ করা হয়।

এসব দল ও সংগঠনের মধ্যে ছিলো মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, জেলা প্রশাসন, পুলিশ বিভাগ, আওয়ামী লীগ জেলা ও মহানগর, বিএনপি জেলা ও মহানগর, খুলনা সিটি কর্পোরেশন, খুলনা প্রেসক্লাব, খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়ন, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, কমিউনিস্ট পার্টি, শিল্পকলা একাডেমি, বিএমএসহ বিভিন্ন সংগঠন।

গল্লামারী শহীদ স্মৃতিসৌধে জেলা ও মহানগর বিএনপি নেতাকর্মীদের পুষ্পস্তবক অর্পণ।  ছবি: বাংলানিউজদিবসটি উদযাপনে খুলনা জেলা প্রশাসনের  নানা কর্মসূচি চলছে। ভোরে গল্লামারী শহীদ স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়, পরে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ লাইনে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের সূচনা, সকাল সাড়ে আটটায় খুলনা জেলা স্টেডিয়ামে আয়োজন করা হয় কুচকাওয়াজ ও ডিসপ্লে প্রদর্শনী।

মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সন্তানদের সংবর্ধনা দেওয়া হয় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে। এতে সভাপতিত্ব করেন খুলনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন।

 নৌ বাহিনীর জাহাজ জনসাধারণের দর্শনের জন্য বিআইডব্লিউটিএ রকেটঘাটে দুপুর দুইটা থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত উন্মুক্ত রাখা, বিকেল তিনটায় পাইওনিয়ার মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় মাঠে নারীদের ক্রীড়া অনুষ্ঠান ও মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক আলোচনা সভা।

সন্ধ্যা ছয়টায় খুলনা সার্কিট হাউস সংলগ্ন শেখ রাসেল ইন্টারন্যাশনাল টেনিস কমপ্লেক্সে ‘জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ ও ডিজিটাল প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার’ শীর্ষক আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত শিশুদের জন্য উন্মুক্ত গিলাতলা ও বয়রা শিশুপার্ক ও খালিশপুর ওয়ান্ডারল্যান্ড শিশুপার্ক।

খুলনা সিটি কর্পোরেশন দিবসটি উপলক্ষে গল্লামারী শহীদ স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন, সকাল ৯টায় নগর ভবনে শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ এবং জেলা স্টেডিয়ামে কেসিসি একাদশ এবং জেলা প্রশাসন একাদশের মধ্যে প্রীতি ফুটবল প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। এসব অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক। গল্লামারী শহীদ স্মৃতিসৌধে খুলনা কর অঞ্চলের কর্মকর্তাদের পুষ্পস্তবক অর্পণ।  ছবি: বাংলানিউজএছাড়া খুলনা কর অঞ্চল দিবসটি উপলক্ষে প্রভাতে বিজয় র‌্যালিসহ গল্লামারী শহীদ স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে। পরে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন খুলনা কর অঞ্চলের কর কমিশনার প্রশান্ত কুমার রায়।

দিবসটি উপলক্ষে আওয়ামী লীগ মহানগর ও জেলা কমিটির উদ্যোগে সকাল ৬টায় গল্লামারী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন, দলীয় কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ, সকাল ৯টায় মহান বিজয় দিবসের বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের করে। এসব অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন খুলনা সিটি মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি তালুকদার আব্দুল খালেক, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হারুনুর রশিদসহ মহানগর ও জেলা নেতারা।

দিবসটি উপলক্ষে বিএনপি মহানগর ও জেলা কমিটির উদ্যোগে সকাল সাড়ে ৭টায় গল্লামারী শহীদ স্মৃতিসৌধে দলের শ্রদ্ধা নিবেদন, কেডি ঘোষ রোডস্থ দলীয় কার্যালয় চত্বরে বিজয় দিবসের সমাবেশ ও পরে শহরে র‌্যালি বের করে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও মহানগর সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু এবং জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট এসএম শফিকুল আলম মনাসহ নেতাকর্মীরা।

দিবসটি উপলক্ষে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে (খুবি) সকাল সাড়ে ৬টায় শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ প্রশাসন ভবনের সামনে উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। এরপর উপাচার্যের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারী শোভাযাত্রাসহ ক্যাম্পাসে মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য অদম্য বাংলা চত্বরে পৌঁছান। উপাচার্যের সর্বপ্রথম শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণের মধ্য দিয়ে শ্রদ্ধাঞ্জলির কর্মসূচি শুরু হয়। বিজয় দিবসের অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মুক্তমঞ্চে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং দিনব্যাপী আলোকচিত্র প্রদর্শনী।  

খুলনা প্রেসক্লাব দিবস উপলক্ষে গল্লামারী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করে। পরে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. সাহেব আলীর পরিচালনায় এতে সভাপতিত্ব করেন ক্লাবের সভাপতি এসএম হাবিব।

বাংলাদেশ সময়: ১২২২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৬, ২০১৯
এমআরএম/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।