ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

‘প্রাথমিক প্রতিবেদনে রুম্পাকে ধর্ষণের আলামত মেলেনি’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০১৯
‘প্রাথমিক প্রতিবেদনে রুম্পাকে ধর্ষণের আলামত মেলেনি’

ঢাকা: স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ছাত্রী রুবাইয়াত শারমিন রুম্পার ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনের ব্যাপারে ডা. সোহেল মাহমুদ বলেন, নিহত রুম্পার ময়নাতদন্তের তিনটি রিপোর্টের মধ্যে একটি হাতে পেয়েছি। সেটি হলো- মাইক্রোবায়োলজিক্যাল রিপোর্ট। এই রিপোর্টে ধর্ষণের আলামত পাওয়া যায়নি। আরও দু’টি বাকি আছে।

শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) এমন তথ্যই জানান তিনি।

ডা. সোহেল মাহমুদ বলেন, শুধু ময়নাতদন্ত করেই হত্যা না আত্মহত্যা, সেটি নির্ণয় করা যাবে না।

এর জন্য পারিপার্শ্বিক অন্য অনেক বিষয় নিয়ে কাজ করতে হয়।

এছাড়া রোববার (১৫ ডিসেম্বর) পুলিশের কাছে প্রাথমিক রিপোর্টি পাঠানো হবে বলেও জানান এই চিকিৎসক।

এর আগে গত ০৪ ডিসেম্বর দিনগত রাত পৌনে ১১টার দিকে সিদ্ধেশ্বরী সার্কুলার রোডের আয়েশা শপিং কমপ্লেক্সের পেছনের তিনটি ভবনের মধ্যবর্তী স্থান থেকে এক তরুণীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

তাৎক্ষণিকভাবে মরদেহ দেখে আশপাশের লোকজন কেউ চিনতে না পারায়, শনাক্তের জন্য মৃতের আঙুলের ছাপ (ফিঙ্গারপ্রিন্ট) সংগ্রহ করা হয়। পরে স্বজনরা তাকে দেখে শনাক্ত করেন।

পারিবারিক সূত্র জানায়, ওইদিন সন্ধ্যায় শারমিন দু’টি টিউশনি করে বাসায় ফেরেন। পরে তিনি কাজ আছে বলে বাসা থেকে বের হন। বাসা থেকে নিচে নেমে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন রেখে ও সেসময় পরিহিত স্যান্ডেল বদলে বেরিয়ে যান রুম্পা।

কিন্তু রাতে আর বাসায় ফেরেননি। পরিবারের লোকজনসহ স্বজনেরা বিভিন্ন স্থানে খোঁজ করেও তার সন্ধান পাননি। পরে খবর পেয়ে রুম্পার মাসহ স্বজনরা রমনা থানায় গিয়ে মরদেহের ছবি দেখে তাকে শনাক্ত করেন।

এ ঘটনায় রুম্পার কথিত প্রেমিক আব্দুর রহমান সৈকতের প্রাথমিক সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে। বর্তমানে তিনি গ্রেফতার রয়েছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১২৩৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০১৯
এজেডএস/এসএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।