ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

ডাউকি সীমান্তে এখনও যাতায়াত-পণ্য রফতানি বন্ধ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০১৯
ডাউকি সীমান্তে এখনও যাতায়াত-পণ্য রফতানি বন্ধ

সিলেট: তামাবিল-ডাউকি শুল্ক স্টেশন দিয়ে বাংলাদেশিদের যাতায়াত ও পণ্য রফতানি এখনো বন্ধ রেখেছে ভারতের ইমিগ্রেশন। শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) দিনভর বন্ধ থাকার পর শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) বেলা পৌনে ১১টা পর্যন্ত বাংলাদেশি কোনো যাত্রীকে ভারতে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি এবং পণ্য রফতানিও বন্ধ রাখা হয়েছে।

তবে এই শুল্ক স্টেশন দিয়ে ভারত থেকে বাংলাদেশে পণ্য আমদানি অব্যাহত আছে।

সংশোধীত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ভারতের মেঘালয় রাজ্যে কারফিউ জারির কারণে সিলেট সীমান্ত দিয়ে এখনো প্রবেশ বন্ধ রয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তামাবিল ইমিগ্রেশন পুলিশের এক উপ-পরিদর্শক (এসআই) পদবীর কর্মকর্তা বাংলানিউজকে বলেন,  শুক্রবার ১০৪ জন বাংলাদেশি যাত্রীকে ভারতের ইমিগ্রেশন থেকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এদিন ভারতে অবস্থানরত ১২০ জন বাংলাদেশি পর্যটক ফেরত আসেন। তাদের মুখেও ছিল সেখানকার ভয়াবহ অবস্থার বর্ণনা। ফেরত আসা ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, তারা কোনোরকম প্রাণে বেঁচে ফিরেছেন।

ওই কর্মকর্তা বলেন, শনিবার সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত শিলং থেকে অন্তত ১৫ জন যাত্রী ফিরেছেন। এছাড়া ১২ জনের মতো যাত্রী ভারতে যেতে চেয়েছিলেন, তাদের ফিরিয়ে দিয়েছে ইমিগ্রেশন।

বাংলাদেশের ইমিগ্রেশনে যাত্রীদের না আটকানোর বিষয়ে ওই কর্মকর্তা বলেন, তাদের পাসপোর্টের ভিসাটা যাতে নষ্ট না হয়, এজন্য সে দেশের ইমিগ্রেশন কর্মকর্তাদের বলে দিয়েছেন ইমিগ্রেশনে অ্যারাইভাল দেখিয়ে পাসপোর্টে সিল মেরে দেওয়ার জন্য।       

সিলেট তামাবিল কাস্টমসের সহকারী কমিশনার (এসি) রবীন্দ্র কুমার সাহা বাংলানিউজকে বলেন, শুল্ক স্টেশন দিয়ে পর্যটকরা যেতে পারছে না, তবে পণ্য আমদানি অব্যাহত রয়েছে, কেবল রফতানি বন্ধ। শুক্রবার থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত পাথর ও কয়লাবাহী ৬১৩টি গাড়ি দেশে প্রবেশ করেছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ থেকে সবসময় রফতানি হয় না। অবশ্য পণ্যবাহী গাড়ি যেতে চাইলে বোঝা যেতো সে দেশের কাস্টমস ফেরত দেয়, নাকি আটকে দেয়।

‘মেঘালয় রাজ্যে কারফিউ জারির কারণে শুক্রবার সারাদিন শুল্ক স্টেশনে তিনি অবস্থান করছিলেন এবং দেখেছেন শ্যামলী পরিবহনে বহু যাত্রী ডাউকি দিয়ে প্রবেশের চেষ্টা করলেও ইমিগ্রেশন সেখানের অবস্থা বর্ণনা করে তাদের ফেরত পাঠায়’।

তামাবিল শুল্ক বন্দরের সহকারী পরিচালক পার্থ ঘোষ বাংলানিউজকে বলেন, ডাউকি সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশিদের ভারতে প্রবেশে এখনো বাধা রয়েছে। ফলে ভারতে বেড়াতে কিংবা ব্যবসার কাজে বাংলাদেশিদের যাওয়া বন্ধ রয়েছে। তাছাড়া শুক্রবার থেকে কোনো পণ্য রফতানি হয়নি। তবে আমদানি অব্যাহত আছে। জটিলতা কেটে গেলে সেদেশের ইমিগ্রেশন ও কাস্টমস এমনিতে গ্রিন সিগন্যাল দেবে।

ভারতের নাগরিকত্ব বিল নিয়ে উত্তেজনার পর বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেল থেকে মেঘালয় রাজ্যে কারফিউ জারি করা হয়। পূর্ব ঘোষণা ছাড়া আচমকা এই পরিস্থিতিতে বিপাকে পড়েছেন বাংলাদেশি পর্যটকেরা।

বাংলাদেশ সময়: ১১১৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০১৯
এনইউ/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।