ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

নেপিদোতে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সেনাপ্রধানদের বৈঠক

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩৩৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০১৯
নেপিদোতে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সেনাপ্রধানদের বৈঠক নেপিদোতে দেশটির সেনাবাহিনীর প্রধান মিন অং হ্লাইয়াংয়ের সঙ্গে হ্যান্ডশেক করছেন বাংলাদেশের সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ।

ঢাকা: মিয়ানমারের রাজধানী নেপিদোতে দেশটির সেনাবাহিনীর প্রধান মিন অং হ্লাইয়াংয়ের সঙ্গে দ্বি-পক্ষীয় বৈঠক করেছেন বাংলাদেশের সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ।

বুধবার (১১ ডিসেম্বর) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পাঠানো এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়েছে, সোমবার (৯ ডিসেম্বর) মিয়ানমারের রাজধানী নেপিদোতে মিয়ানমার সেনা প্রধানের সঙ্গে জেনারেল আজিজ আহমেদের এ দ্বি-পক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় দেশটির বিমান বাহিনী প্রধান, নৌবাহিনী প্রধানসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।

আইএসপিআর জানায়, বৈঠকে সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ যে কারণে রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে ফেরত যেতে নিরুৎসাহ হচ্ছে তা তুলে ধরা হয়।  

এ নিয়ে মিয়ানমারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বিষয়টির সুরাহা করতে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, এশিয়ান হিউম্যানিটারিয়ান ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিম এবং রোহিঙ্গা প্রতিনিধিকে শিগগির সেটেলমেন্ট এলাকা পরিদর্শনের আমন্ত্রণ জানানো হবে।

বৈঠকে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে বাংলাদেশ কর্তৃক বর্ডার রোড নির্মাণ কাজে মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও বিজিপি সহযোগিতার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি সীমান্তে স্থল মাইন এবং আইইডির বিষয়ে বাংলাদেশের উদ্বেগের কথা জানানো হয়।  

মিয়ানমার সামরিক হেলিকপ্টার ও ড্রোনের বাংলাদেশের আকাশসীমা লঙ্ঘনের বিষয় তুলে ধরা হয়। সেন্টমার্টিন দ্বীপে ও তাদের ড্রোন পাঠানোর বিষয় তুলে ধরে বাংলাদেশের উদ্বেগের কথা জানানো হলে এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানায় দেশটির কর্তৃপক্ষ।

সীমান্ত এলাকায় মিয়ানমারের অভ্যন্তরে মাদক কারখানা ও তা বাংলাদেশে প্রবেশে উদ্বেগের বিষয়টিও মিয়ানমারকে জানানো হয়। মাদক পাচারের বিরুদ্ধে মিয়ানমার সেনাবাহিনী সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে।

বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত এলাকায় যেকোনো উদ্ভূদ পরিস্থিতিতে একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যমে ভুল বোঝাবুঝি নিরসনে কাজ করতে উভয়পক্ষ সম্মত হয়েছে বলে জানিয়েছে আইএসপিআর।

আইএসপিআর’র পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে, বৈঠকে কেবলমাত্র কাউন্টার ইনসার্জেন্সি অপারেশনের জন্য সীমান্ত এলাকায় সৈন্য সমাবেশ ঘটানো হয় বলে জানায় মিয়ানমার সেনাবাহিনী। তারা কখনও দু’দেশের সীমানা অতিক্রম না করার বিষয়ে আশ্বস্ত করার চেষ্টা করেছে।

বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত এলাকায় যেহেতু মিয়ানমার সেনাবাহিনী কাউন্টার ইনসার্জেন্সি অপারেশন পরিচালনা করছে, তাই বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সহযোগিতা চেয়ে তারা বলছে, যখন সীমান্ত এলাকায় কাউন্টার ইনসার্জেন্সি অপারেশন চালাবে তখন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী যেন বাংলাদেশ ভূখণ্ডে থেকে সীমান্ত এলাকায় তাদের সহায়তা করে, যাতে তাদের ইনসার্জেন্ট গ্রুপ তাড়া খেয়ে বাংলাদেশ ভূখণ্ডে এসে আশ্রয় নিতে না পারে।

দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম বাড়ানো, বিভিন্ন পর্যায়ের সৌজন্যমূলক সফর বাড়ানোর বিষয়েও বৈঠকে আলোচনা হয় বলে আইএসপিআর’র ওই প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২২০৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০১৯
এএটি/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।