ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

আশুগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৪৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০১৯
আশুগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা

ব্রাহ্মণবাড়িয়া: চাঁদাবাজির অভিযোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সালাউদ্দিনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিনিয়র জুডিসিয়াল আদালতের বিচারক সারোয়ার আলমের আদালতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স মোস্তফা কামাল ও লোকমান হোসেন জয়েন্ট ভেঞ্চার কনস্ট্রাকশন ফার্মের ব্যবস্থাপক আতিকুর রহমান সুমন বাদী হয়ে মামলাটি করেন।

মামলার আইনজীবী রাকিবুল আলম জানান, আদালত মামলাটি তদন্ত করে জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর (এলজিইডি), ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার গোলচত্বর থেকে আড়াইসিধা-তালশহর পর্যন্ত আট কিলোমিটার সড়কের উন্নয়ন কাজের সর্বনিম্ন দরপত্রদাতা হিসেবে কাজটি মেসার্স মোস্তফা কামাল ও লোকমান হোসেন জয়েন্ট ভেঞ্চার কনস্ট্রাকশন ফার্মকে দেওয়া হয়। এরপর থেকেই কাজটি ইউপি চেয়ারম্যান সালাহ উদ্দিনের কাছে বিক্রি করে দেওয়ার জন্য তিনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিক লোকমান হোসেনকে হুমকি দিতে থাকেন।

হুমকি উপেক্ষা করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ চালিয়ে যায়। গত ৪ ডিসেম্বর বেলা ১১টার দিকে আশুগঞ্জ উপজেলা সদরের আলমনগর সড়ক সেতুর সামনে সালাহ উদ্দিনের নেতৃত্বে মামলার অন্য অভিযুক্তরা গিয়ে শক্তি প্রদর্শন করে মামলার বাদী আতিকুর রহমান সুমনের কাছে লোকমান হোসেন কোথায় জানতে চান। তখন সালাহ উদ্দিন বলেন- লোকমান হোসেন তাদের ছয় লাখ টাকা চাঁদা দেওয়ার কথা। তখন আতিকুর রহমান সুমন বলেন, চাঁদার বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না।

এ কথা বলার পর কাজ বন্ধ রাখার কথা বলে আতিকুর রহমানের ওপর অভিযুক্তরা হামলা করে। তখন নির্মাণ কাজে থাকা রোলারের এক লাখ টাকা মূল্যের পাঁচটি ব্যাটারি ও শ্রমিকের বেতনের দুই লাখ টাকা ছিনিয়ে নেওয়া হয়। বিষয়টি জেনে ৬ ডিসেম্বর এলজিইডি অফিসের কর্মকর্তারা কাজ দেখতে আসলে আসামিরা তাদের ও বাদীকে হুমকি দেয়। এই ঘটনায় এলজিইডি থেকেও একটি অভিযোগ আশুগঞ্জ থানায় দায়ের করা হয়েছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।

বুধবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা গোয়েন্দা শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমিনুর রশিদ বাংলানিউজকে জানান, আদালত থেকে এখনো কোনো মামলার কাজ পায়নি। কাগজ পেলে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করব।

আশুগঞ্জ সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সালাহ উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, চাঁদা দাবি ও হামলার অভিযোগ সঠিক নয়। রাস্তার কাজের মান ভালো রাখার জন্য জনগণের পক্ষে কথা বলতে গিয়ে যদি মামলা হয় হবে এতে কোনো সমস্যা নেই।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০১৯
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।