ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

‘মাথাপিছু আয় ৬০০০ ডলারের আগেই সবার কাছে গাড়ি থাকবে’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪৩৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০১৯
‘মাথাপিছু আয় ৬০০০ ডলারের আগেই সবার কাছে গাড়ি থাকবে’ বক্তব্য রাখছেন মো. তাজুল ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, মাথাপিছু আয় ছয় হাজার ডলার হওয়ার আগেই প্রত্যেকের একটি করে গাড়ি থাকবে। বর্তমানে আমাদের মাথাপিছু আয় দুই হাজার ডলার। অচিরেই আয় সাড়ে চার হাজার ডলারে উন্নীত হবে। তখন থেকেই ঘরে ঘরে ব্যক্তিগত গাড়ি থাকবে। উন্নত বাংলাদেশ হলে আমাদের মাথাপিছু আয় থাকবে ১২ হাজার ডলার।

মঙ্গবার (১০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের আইডিবি কাউন্সিল হলে ‘স্মার্ট সিটি ইনিশিয়েটিভ বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, এসব গাড়ি চলাচলের জন্য রাস্তায় জায়গা দিতে হবে।

সড়ক প্রশস্ত ও ট্রাফিক ব্যবস্থা উন্নয়নে এখনই নজর দিতে হবে।

তিনি বলেন, উন্নত বাংলাদেশের কথা চিন্তা করেই গ্রামকে শহরে রূপান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। সেখানে স্মার্ট সিটির পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করা হবে।

কমিউনিটি ভিলেজ প্রসঙ্গে তাজুল ইসলাম বলেন, আমাদের গ্রামে ৬০ হাজার লোক বাস করে। তারা একশ’ একর জমি দখল করে আছে। তাদের যোগাযোগ, বিদ্যুৎ ,পানিসহ আধুনিক সব সুযোগ-সুবিধা দিতে অনেক খরচ হবে। আমরা যদি বিল্ডিং বানিয়ে ১০ একরের মধ্যে নিয়ে আসতে পারি, স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল, খেলার মাঠ, অডিটোরিয়াম, কমিউনিটি সেন্টার থাকে, তাহলে তারা সব সুযোগ-সুবিধা অল্পতেই পাবে। পাশাপাশি একটা কমিউনিটির ভেতর থাকতে পারবে। তখন আমাদের খরচ অনেক কমে আসবে। আর বাকি জমি কৃষি কাজে ব্যবহার করা যাবে।

তিনি বলেন,আমাদের দেশে বয়স্ক লোকের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। কমিউনিটির ভেতরে থাকলে একটা অ্যাসোসিয়েশনের মধ্যে আসতে পারবে। ছেলে-মেয়েদের বিপথে যাওয়ার সম্ভাবনা কমবে।  

মন্ত্রী বলেন, পাঁচশ’ বছর আগে আরবানাইজেশনের (শহরায়ন) স্বপ্ন দেখেছিলেন লিওনার্দো দা ভিঞ্চি। তার স্বপ্ন ও কথাগুলো কার্যকর, এখনো বাস্তবতা আছে। সম্প্রতি আমি টোকিও গিয়ে এর বাস্তবতা দেখেছি।

তিনি বলেন, একসময় আমাদের অর্থনৈতিক অবস্থা খুব খারাপ ছিল। আমাদের দারিদ্র্য যত তাড়াতাড়ি ঘুছে গেছে, তত তাড়াতাড়ি আরবানাইজেশন হয়েছে। আমাদের ঢাকা শহরে অপরিকল্পিতভাবে উন্নয়ন হয়েছে। এখানে যোগাযোগের জন্য সাত শতাংশেরও কম জায়গা বরাদ্দ রয়েছে।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, গ্রামকে শহরে রূপান্তর করতে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ ব্যবস্থা, ফুড সেফটি, চাকরি সর্বসাধারণের কাছে পৌঁছে দিতে চাই। তাই সেভাবেই আমাদের কাজ করতে হবে।

সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. হোসেন মনসুর। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। স্বাগত বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য সচিব ইঞ্জিনিয়ার মো. আব্দুস সবুর।

বাংলাদেশ সময়: ২৩৪০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০১৯
পিএস/একে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।