ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

যৌন হয়রানি রোধে আইন প্রণয়নে সই সংগ্রহ কর্মসূচি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২২১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৯, ২০১৯
যৌন হয়রানি রোধে আইন প্রণয়নে সই সংগ্রহ কর্মসূচি

ঢাকা: যৌন হয়রানি প্রতিরোধে আইন প্রণয়নের প্রয়োজনীয়তায় কর্মক্ষেত্র, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সব পর্যায়ে অধিকতর জনসমর্থনের গণদাবিতে দেশব্যাপী সই সংগ্রহ কর্মসূচি উদ্বোধন করেছেন ‘জেন্ডার প্ল্যাটফর্ম বাংলাদেশ’।

রোববার (৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন শেষে এ সই সংগ্রহ কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়।  

জেন্ডার প্ল্যাটফর্ম কর্তৃক আয়োজিত এই সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আওয়াজ ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক নাজমা আক্তার, ইন্ডাস্ট্রিয়াল বাংলাদেশ কাউন্সিলের সভাপতি রুহুল আমিন, বাংলাদেশ লেবার ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক জেডএম কামরুল আনাম, বাংলাদেশ মহিলা আইনজীবী সমিতির অ্যাডভোকেট হাসিনা রশিদ, জেন্ডার প্ল্যাটফর্ম বাংলাদেশের কো-অর্ডিনেটর আইনুন নাহার প্রমুখ।

জেন্ডার প্ল্যাটফর্ম বাংলাদেশের কো-অর্ডিনেটর আইনুন নাহার বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশে ২০০৯ সালে কারখানা বা প্রতিষ্ঠান যৌন হয়রানিমুক্ত কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানি প্রতিরোধ আইন প্রণয়নের কাজ শুরু করে। একটি পূর্ণাঙ্গ আইন প্রণয়নের লক্ষ্যে ২০১৮ সালে খসড়া তৈরি করে আইন মন্ত্রণালয়ে পেশ করা হয়। কিন্তু এখনও এই আইন পাস হয়নি।

এসময় বক্তারা জানান, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন ও কর্মজীবী নারী কর্তৃক প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা যায়, ২২ ভাগ গার্মেন্টস নারী শ্রমিক কর্মক্ষেত্রে প্রচলিত কথিত যৌন হয়রানির শিকার হন। পাশাপাশি ৪০ ভাগ গার্মেন্টস নারী শ্রমিক গণপরিবহন রাস্তাঘাটে যৌন হয়রানির শিকার হন।  

অন্য একটি প্রতিবেদন উল্লেখ করে বলেন, ২০১৪ থেকে ২০১৭ সালে সারাদেশে ১৭ হাজার ৩০০ মামলা হয়েছে। শাস্তি পেয়েছে ৬৭৩ জন। এছাড়াও চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে ৬৩০ জন নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এবং ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে ৩৭ জনকে।  

বক্তারা বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে যৌন হয়রানি প্রতিরোধ ও সুরক্ষা আইন ২০১৯ পাস করতে হবে। এটি বাংলাদেশের ভয়াবহ চিত্র পাল্টাতে ও সর্বক্ষেত্রে যৌন হয়রানি বন্ধে অত্যন্ত কার্যকর ভূমিকা রাখবে।

আইনুন নাহার বলেন, জেন্ডার প্লাটফর্মের মাধ্যমে আমরা সরকারের কাছে চারটি সুনির্দিষ্ট দাবি উপস্থাপন করছি। দাবিগুলো হলো- হাইকোর্টের নির্দেশ অনুসরণ করে কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানি প্রতিরোধ ও সুরক্ষা আইন প্রণয়ন, কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানি প্রতিরোধ কমিটি গঠন সংক্রান্ত নির্দেশনা বাস্তবায়ন, সরকার কর্তৃক আইএলও কনভেনশন ১৯০ অনুসমর্থন, কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানি প্রতিরোধে আইন প্রণয়নের প্রয়োজনীয়তা বিষয় কর্মক্ষেত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সব পর্যায়ে অধিকতর জনসমর্থন আদায়ের জন্য দেশব্যাপী ‘সই সংগ্রহ কর্মসূচি’ সফল করা।

বাংলাদেশ সময়: ০৭২১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৯, ২০১৯
পিএস/আরকেআর/এসএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।