ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

তথ্য কমিশন-এটুআই’র মধ্যে চুক্তি সই

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৩১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৯, ২০১৯
তথ্য কমিশন-এটুআই’র মধ্যে চুক্তি সই

ঢাকা: তথ্য কমিশন ও অ্যাকসেস টু ইনফরমেশনের (এটুআই) মধ্যে সমঝোতা চুক্তি সই হয়েছে।

রোববার (০৮ ডিসেম্বর) আগারগাঁওয়স্থ তথ্য কমিশনে এ চুক্তি সই হয়। চুক্তি সই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে প্রধান তথ্য কমিশনার মরতুজা আহমদ এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন তথ্য কমিশনার সুরাইয়া বেগম। এটুআই’র পক্ষে এটুআই প্রজেক্টের পরিচালক ড. মো. আব্দুল মান্নান এবং তথ্য কমিশনের পক্ষে কমিশনের সচিব মো. তৌফিকুল আলম সমঝোতা স্মারকে সই করেন।  

২০০৯ সালের ১ জুলাই তথ্য অধিকার আইনের কার্যকর বাস্তবায়নে স্বাধীন প্রতিষ্ঠান হিসেবে তথ্য কমিশন প্রতিষ্ঠিত হয়। তথ্য অধিকার আইনের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও সংবিধিবদ্ধ সংস্থা এবং সরকারি ও বিদেশি অর্থায়নে সৃষ্ট বা পরিচালিত বেসরকারি সংস্থার স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে দুর্নীতি হ্রাস ও সুশাসন প্রতিষ্ঠিত করা। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই তথ্য কমিশন এই আইনের কার্যকর বাস্তবায়নে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে।

তথ্য অধিকার আইনে তথ্য প্রাপ্তির আবেদন, আপিল ও অভিযোগ দায়েরে বর্তমানে প্রচলিত অফলাইন পদ্ধতির পাশাপাশি অনলাইন পদ্ধতি চালু করার জন্য তথ্য কমিশন ডিনেট ও এটুআই’র সহযোগিতায় আরটিআই অনলাইন ট্র্যাকিং সফটওয়্যার তৈরি করেছে। ইতোমধ্যে দু’টি উপজেলায় পাইলটিং কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সারা দেশে এই কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে।

আরটিআই অনলাইন ট্র্যাকিং সিস্টেমকে একসেবা সিস্টেমের আওতায় এনে ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তাদের মাধ্যমে জনগণকে তথ্য প্রাপ্তির আবেদন, আপিল আবেদন, অভিযোগ দায়ের এবং অনলাইনের মাধ্যমে তার সর্বশেষ অবস্থা জানতে সহায়তা করা, ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তাদের ওই কাজে সহায়তা করার জন্য সক্ষমতা বাড়াতে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেওয়া, আরটিআই অনলাইন ট্র্যাকিং সিস্টেমকে ‘৩৩৩’ কল সেন্টারের সঙ্গে সংযুক্ত করা, ৩৩৩ কল সেন্টারের মাধ্যমে জনগণকে সেবা ও যোগাযোগ সম্পর্কিত তথ্য প্রদান নিশ্চিত করা।

এছাড়াও ৩৩৩ কল সেন্টারের এজেন্টদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেওয়া ও বিভিন্ন চ্যানেলের মাধ্যমে এই কার্যক্রমকে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছানোর উদ্দেশ্যে এই সমঝোতা স্মারক সই হয়। স্মারকের মেয়াদ সই হওয়ার দিন থেকে ৫ বছর পর্যন্ত বলবৎ থাকবে এবং উভয়পক্ষের সম্মতি সাপেক্ষে পরবর্তীতে এই মেয়াদ বাড়ানো যাবে।

বাংলাদেশ সময়: ০৫৩১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৯, ২০১৯
এসএমএকে/এসএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।