ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

বিডিআর বিদ্রোহ: বাদীকে জেরা করলেন আসামিরা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৫, ২০১০

ঢাকা: বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় ২৪ রাইফেলস ব্যাটালিয়নের বিচার শুনানির ২য় দিন রোববার মামলার বাদী ও স্বাক্ষী সুবেদার মতিউর রহমানকে জেরা করেছেন অভিযুক্ত ১ শ’ ৫০ জন বিডিআর জওয়ান।

রোববার সকাল সোয়া নয়টায় বিডিআর সদরদপ্তরের দরবার হলে স্থাপিত বিশেষ আদালত-৫ এ বিচার কাজ শুরু করেন বিডিআর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল রফিকুল ইসলাম।



দুপুর দেড়টায় আদালতের কাজ শেষ করেন তিনি সোমবার সকাল ৯টা পর্যন্ত আদালত মুলতবি ঘোষণা করেন।

বিচার কাজে তাকে সহযোগিতা করেন লে. কর্নেল এ কে এম গোলাম রব্বানী, মেজর সাইদ হাসান তাপস এবং ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট মো. সোহরাওয়ার্দী।

এর আগে শনিবার শুনানির প্রথম দিন অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে স্বাক্ষ্য প্রমাণের মধ্য দিয়ে বিচারের মূল কার্যক্রম শুরু হয়।

মামলার বাদী ও স্বাক্ষী সুবেদার মতিউর রহমান স্থিরচিত্র, ভিডিওচিত্র, জব্দ তালিকা, মোবাইল ফোনের কললিস্ট, ছুটির সনদসহ সব ধরনের দালিলীক স্বাক্ষ্য প্রমাণ আদালতে পেশ করেন।

জানা গেছে, জেরার একপর্যায়ে অভিযুক্ত ল্যান্স নায়েক একরামুল হক বাদীকে ‘কৃত্রিম স্বাক্ষী’ বলে বিদ্রুপ করেন। এতে আদালত অবমাননার অভিযোগে আদালতের কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে থাকার আদেশ দেন বিচারক।

২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি বিডিআর সদরদপ্তরে বিদ্রোহ করে বিডিআর জওয়ানরা। ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি এ দু’দিন বিদ্রোহ চলে। এ সময় বিদ্রোহী জওয়ানরা ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ মোট ৭৩ জনকে হত্যা করে।

বিদ্রোহী জওয়ানদের বিচার করতে ২০০৯ সালের নভেম্বর মাসে ঢাকায় দু’টিসহ ৬টি বিশেষ আদালত গঠন করা হয়। বিডিআর আইনে বিদ্রোহের সর্বোচ্চ শাস্তি ধরা হয় সাত বছরের কারাদণ্ড।

মামলায় ফেনী, সাতীরা, রাঙামাটি, পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও ও সুনামগঞ্জে স্থাপিত আদালতের রায়ে এরই মধ্যে বেশ কিছু বিডিআর সদস্যের সর্বোচ্চ সাত বছরসহ বিভিন্ন মেয়াদে সাজা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময় : ২০২৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৫, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।