চট্টগ্রাম: বর্ধিত বেতন-ফি প্রত্যাহারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সমঝোতার উদ্যোগ নিয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. এফ ইমাম আলীর মধ্যস্থতায় রোববার প্রথম দফা বৈঠক করেছে উভয় প।
বৈঠকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পে উপস্থিত ছিলেন প্রক্টর অধ্যাপক ড. জসীম উদ্দিন, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক তৌহিদ হোসেন চৌধুরী, বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক আবুল কালাম আযাদ ও সহকারী প্রক্টর আকতার হোসেন। শিক্ষার্থীদের পে উপস্থিত ছিলেন বর্ধিত বেতন-ফি বিরোধী সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ’র সমন্বয়কারী তবারক হোসেন, সুবর্ণা ধর, শান্তনু চৌধুরী, আফরিন ফেরদৌসী, তানজিল আহমেদ, রুচি ভট্টচার্য্য প্রমুখ।
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক কাবে দুপুর ১২টা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বিকেলে নগরীর ইসলামীবাদী মেমোরিয়াল হলে শিক্ষার্থীরা সংবাদ সম্মেলন করে বৈঠকে উত্থাপিত তাদের পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরে।
দাবিগুলো হচ্ছে সকল প্রকার বর্ধিত বেতন-ফি প্রত্যাহার, আন্দোলনরত শিক্ষার্থী-সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা, বহিষ্কারাদেশ ও কারণ দর্শানো নোটিশ প্রত্যাহার, রশিদ ও অধ্যাদেশ বহির্ভূত টাকা গ্রহণের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ, প্রথম বর্ষের ক্ষেত্রে বিষয়ভিত্তিক ভর্তি ফি নির্ধারণ ও সকল লেনদেন ব্যাংক রশিদের মাধ্যমে করা।
প্রক্টর অধ্যাপক ড. জসীম উদ্দিন বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের দাবির ব্যাপারে আমরা আন্তরিক। এসব দাবি নিয়ে বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। পরবর্তী বৈঠকে আশা করি সমস্যার সমাধান হবে। ’
বর্ধিত বেতন ফি বিরোধী সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ’র সমন্বয়ক তবারক হোসেন বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে বলেন, ‘প্রশাসন দাবি মেনে নেওয়ার ব্যাপারে ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছে। খুব দ্রুত পরবর্তী বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। ’
প্রসঙ্গত, বর্ধিত বেতন ফি প্রত্যাহারের দাবিতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা গত ২৬ জুলাই ক্যাম্পাসে আন্দোলন শুরু করে। আন্দোলন পরবর্তীতে পুরো নগরীতেও ছড়িয়ে পড়ে। আন্দোলনের এক পর্যায়ে গত ২ আগস্ট ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ওইদিন বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ।
বাংলাদেশ সময় ২০০২ ঘণ্টা, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০১০