ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

অস্ত্রসহ আত্মসমর্পণ করছেন শতাধিক সন্ত্রাসী

সুনীল বড়ুয়া, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০১৯
অস্ত্রসহ আত্মসমর্পণ করছেন শতাধিক সন্ত্রাসী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে অস্ত্র জমা দিলেন সন্ত্রাসীরা। ফাইল ছবি

কক্সবাজার: ২০১৮ সালের ২০ অক্টোবর সশস্ত্র ৪৩ জন জলদস্যু আত্মসমর্পণের পর এবারও অস্ত্রসহ কক্সবাজারের মহেশখালীতে আত্মসমর্পণের প্রস্তুতি নিয়েছেন প্রায় শতাধিক সন্ত্রাসী। এদের মধ্যে রয়েছেন অবৈধ অস্ত্র তৈরির কারিগর, সন্ত্রাসী জলদস্যু, ডাকাত সদস্যরা।

যেখানে রয়েছেন বহুল আলোচিত জাফর আলমসহ ১০ থেকে ১২ জন অবৈধ অস্ত্র তৈরির কারিগরও। এসব সন্ত্রাসীরা শতাধিক অস্ত্র, প্রায় দুই হাজার গুলি ও অবৈধ অস্ত্র তৈরির সরঞ্জামসহ আত্মসমর্পণ করবেন।

 

শনিবার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে জেলা পুলিশের ব্যবস্থাপনায় মহেশখালীর কালারমারছরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে  স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের হাতে অস্ত্র জমা দিয়ে এসব সন্ত্রাসীদের আত্মসমর্পণ করার কথা রয়েছে।  

আত্মসমর্পণের প্রস্তুতি নেওয়া সন্ত্রাসীদের ইতোমধ্যে পুলিশের সেফহোমে নিয়ে আসা হয়েছে বলে জানা গেছে।

অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছাড়াও পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারীসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।  

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) এ বি এম মাসুদ হোসেন।

কক্সবাজার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো. ইকবাল হোসাইন বাংলানিউজকে জানান, এর আগে বিভিন্ন সময়ে জলদস্যু, সন্ত্রাসী, চিহ্নিত ডাকাত দলের সদস্যরা আত্মসমর্পণ করেন। তবে মহেশখালীতে চিহ্নিত অবৈধ অস্ত্র তৈরির কারিগর আত্মসমর্পণের ঘটনা এটাই প্রথম।

তিনি বলেন, শনিবারের অনুষ্ঠানে অবৈধ অস্ত্রের কারিগর, জলদস্যু, সন্ত্রাসী, ডাকাত দলের সদস্যসহ অপরাধ জগতের শতাধিক ব্যক্তি শতাধিক অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র, প্রায় দুই হাজার গুলি ও অস্ত্র তৈরির সরঞ্জামসহ আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মসমর্পণ করার কথা রয়েছে। তবে রাতে এ সংখ্যা আরও বাড়তেও পারে বলেও জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইকবাল।

প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ২০ অক্টোবর মহেশখালীতে একইভাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হাতে অস্ত্র জমা দিয়ে ৪৩ জন সশস্ত্র জলদস্যু আত্মসমর্পণ করেন। এ সময় এসব জলদস্যুদের এক লাখ টাকা করে সরকারের পক্ষ থেকে অনুদান দেওয়া হয়।

কক্সবাজারের মহেশখালী, কুতুবদিয়া, পেকুয়া, চকরিয়ার সমুদ্র উপকূলের এসব জলদস্যুরা বর্তমানে কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছেন। তারা সরকারের অনুদানের টাকায় ক্ষুদ্র ব্যবসা করে জীবন যাপন করছেন। এরপরে চলতি বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারি টেকনাফে ১০২ জন ইয়াবাকারবারী আত্মসমর্পণ করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০১৯
এসবি/আরআইএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।