ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

‘প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা আইনের সফলতা নেই’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২১, ২০১৯
‘প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা আইনের সফলতা নেই’

ঢাকা: প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা বিষয়ক কমিটি সক্রিয় না থাকায় এ বিষয়ে হওয়া আইনের দৃশ্যমান কোনো সফলতা নেই বলে দাবি করা হয়েছে প্রতিবন্ধী নারীদের জাতীয় পরিষদ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে এই সংবাদ সম্মেলন করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রতিবন্ধী নারীদের জাতীয় পরিষদের সভাপতি নাছিমা আক্তার।

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন সাংবাদিক ও সমাজকর্মী নাসরিন শওকত। অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার বিশেষ প্রতিনিধি মাহফুজা জেসমিন এবং ব্লু  ল’ ইন্টারন্যাশনালের ইপিডি প্রকল্প পরিচালক হেজি স্মিথ।

বক্তারা বলেন, ২০১৩ সালে প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা আইন জাতীয় সংসদে পাস হলেও তার এখন পর্যন্ত তেমন কোনো দৃশ্যমান সফলতা নেই। আইন বাস্তবায়নের জন্য ৬৪ জেলায় প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা সংক্রান্ত জেলা কমিটি গঠন করার বিধান রয়েছে। উপজেলা ও শহর পর্যায়েও কমিটি গঠন করার কথা বলা হয়েছে। এ সব কমিটির প্রায় সব সদস্য পদাধীকার বলে নিযুক্ত এবং তারা সরকারি দপ্তরের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা। এই আইনে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের মামলার দীর্ঘসূ্ত্রীতা ও আদালতে যাতায়াতের ভোগান্তিসহ নানা বিষয় বিবেচনায় নিয়ে জেলা কমিটির ওপর এর গুরুত্বপূর্ণ ক্ষমতা ন্যস্ত করা হয়।

তারা আরও বলেন, জেলা পর্যায়ের কমিটিগুলো সক্রিয় না থাকায় আইনে বর্ণিত কার্যাবলী মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। সরকার ও জাতীয় সমন্বয় কমিটি বা জাতীয় নির্বাহী কমিটির সিদ্ধান্ত বা নির্দেশনা জেলা পর্যায়ে বাস্তবায়িত হচ্ছে না। প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষার জন্য গৃহীত কার্যক্রম সম্পর্কে জাতীয় নির্বাহী কমিটির কাছে নিয়মানুযায়ী প্রতিবেদনও দেওয়া হচ্ছে না।

বক্তারা কেন্দ্রীয় পর্যায় থেকে সব উপজেলা কমিটি বা শহর কমিটি বা প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষার জন্য প্রতিষ্ঠিত জেলা পর্যায়ের সব সরকারি অফিস, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বেসরকারি সংস্থা বা প্রতিবন্ধী ব্যক্তির সংগঠন, স্ব স্ব-সহায়ক সংগঠন, কার্যাবলীর সমন্বয় সাধন, পর্যবেক্ষণ, তদারকি ও প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে না। ফলে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা বৈষম্যের বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণের আবেদন করতে পারছেন না কিংবা আবেদন করলেও তা নিষ্পত্তি হচ্ছে না। একইসঙ্গে বাংলাদেশে আইনের প্রণয়নের ছয় বছরে মাত্র ৫টি ক্ষতিপূরণের আবদেন দাখিল করা হয়েছে।

এসময় বক্তারা জেলা কমিটিগুলোকে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার আওতায় আনা, জাতীয় নির্বাহী কমিটির কাছে আইন অনুযায়ী জেলা কমিটির প্রতিবেদন প্রেরণ করা এবং সেই প্রতিবেদনগুলো সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে উন্মুক্ত করা, বছরের শুরুতে জেলা কমিটির ত্রৈমাসিক সভাসমূহের তারিখ নির্ধারণ করে জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ে উম্মুক্তভাবে প্রদর্শন করা, জাতীয় সমন্বয় কমিটি ও জাতীয় নির্বাহী কমিটির কার্যক্রমের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করাসহ বিভিন্ন সুপারিশ তুলে ধরেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২১, ২০১৯
এইচএমএস/এইচএডি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।