ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার অবদান লিপিবদ্ধ করার দাবি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬৫০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২১, ২০১৯
বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার অবদান লিপিবদ্ধ করার দাবি আত্মজীবনীমূলক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদ। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশ গড়ে তোলার পেছনে সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাগুলোর রয়েছে অপরিসীম অবদান। কিন্তু নেই যথাযথ স্বীকৃতি। তাই দেশের উন্নয়নকে আরও গতিশীল করতে এবং ভবিষ্যত প্রজন্মকে পথ প্রদর্শনে স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশের উন্নয়নে বেসরকারি খাতের যে মূল্যবান অবদান রয়েছে তা সুসংগঠিতভাবে বই আকারে লিপিবদ্ধ করা প্রয়োজন।

বুধবার (২০ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টার ইন-এ বিশিষ্ট প্রবীণ উন্নয়ন কর্মী, ‘সাউথ এশিয়া পার্টনারশিপ-বাংলাদেশ’ (স্যাপ বাংলাদেশ)-এর সাবেক নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ নূরুল আলমের আত্মজীবনীমূলক ‘আমার জীবন ও উন্নয়নের ৪৪ বছর’ বইটির মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে এমন মন্তব্য করেন বক্তারা।  
 
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদ।

তিনি বলেন, মানুষের উন্নয়নে তার মৌলিক চাহিদার পাশাপাশি প্রয়োজন মানবিক ও মানসিক বিকাশ। উন্নয়নকে টেকসই করতে প্রয়োজন মানুষের মনকে মূল্যবোধ ও মনুষ্যত দ্বারা বিকশিত করা। তাই মৌলিক ও মানবিক অধিকারের পাশাপাশি আলোকিত মানুষ গড়ে তুলতেও বেসরকারি উদ্যোগ প্রয়োজন।
 
আসন্ন দেশের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে দেশের উন্নয়নের ৫০ বছরের ইতিহাস লিপিবদ্ধ করার আহ্বান জানান তিনি।  
 
ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির সেন্টার ফর পিস অ্যান্ড জাস্টিসের নির্বাহী পরিচালক মনজুর হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা জনাব রাশেদা কে. চৌধুরী, টেরে ডেস হোমস-বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর জনাব মাহমুদুল কবীর, ব্যুরো বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক জাকির হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
 
মনজুর হাসানের বলেন, দেশের উন্নয়ন খাতের বহু অর্জন রয়েছে। কিন্তু সেসব কাজ লিপিবদ্ধ করার চর্চার যথেষ্ট অভাব রয়েছে। এসব কর্মকাণ্ড ও অর্জন দলিল বা বই আকারে নথিভুক্ত থাকলে তা থেকে পরবর্তী প্রজন্ম সে সম্পর্কে জানতে পারবে। তাই উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে যুক্ত সবাইকে তাদের অভিজ্ঞতা নিয়ে লেখার আহ্বান জানান তিনি। অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সেই উদ্যোগের সূচনার জন্য সবাইকে আমন্ত্রণ জানানো হয়।
 
টেরে ডেস হোমস-বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর জনাব মাহমুদুল কবীর বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশের যে উন্নয়নের চিত্র আমরা দেখতে পাই তার পেছনে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার অবদান অপরিসীম। উন্নয়নকর্মীরা মাঠে-ঘাটে, গ্রামে-গঞ্জে মানুষের সঙ্গে মিশে গিয়ে তাদের উন্নয়নে কাজ করেছেন, সৈয়দ নূরুল আলম তেমনি একজন মানুষ।
 
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা জনাব রাশেদা কে. চৌধুরী বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে একেক দশকে একেক ইস্যুতে ও পদ্ধতিতে কাজ করেছে বেসরকারি সংস্থাগুলো। ত্রাণ সহায়তা, মানবিক অধিকার থেকে শুরু করে নারী ও শিশুর বিরুদ্ধে সহিংসতা প্রতিরোধে কাজ করেছে এ সংস্থাগুলো। কিন্তু সময়ের সঙ্গে ডকুমেন্টেশনের অভাবে হারিয়ে যাচ্ছে সেই কর্মকাণ্ডের ইতিহাস।
 
সৈয়দ নূরুল ইসলাম বলেন, “স্যাপ-বাংলাদেশ-এর সঙ্গে আমার কর্মকালীন থেকে ‘আমার জীবন ও উন্নয়নের ৪৪ বছর’ নামে একটি বই লেখা শুরু করি। এ গ্রন্থটি শুধু পরবর্তী প্রজন্মকে উন্নয়নকর্মে উৎসাহিত করবে তাই নয়, দেশের সামাজিক ও সার্বিক উন্নয়নের ইতিহাস সম্পর্কে এ গ্রন্থে রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। উন্নয়ন নিয়ে যারা কাজ করতে চায় তাদের জন্য পথরেখা রেখে যাওয়া প্রয়োজন। মুক্তিযুদ্ধোত্তর সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের উন্নয়নের লক্ষ্যে তার বাধা-বিপত্তি ও চড়াই-উৎরাই অতিক্রম করে এগিয়ে যাওয়ার নেপথ্য চিত্রই তুলে ধরা হয়েছে এ বইটিতে। ”
 
সৈয়দ নূরুল ইসলাম বর্তমানে একশনএইড ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ সোসাইটির সাধারণ পরিষদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন

বাংলাদেশ সময়: ০১৪৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২১, ২০১৯
ইডি/আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।