ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে স্পিকারের সাক্ষাৎ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২২৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ২১, ২০১৯
কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে স্পিকারের সাক্ষাৎ

ঢাকা: কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী সামদেক হুন সেন এর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন দেশটিতে সফররত বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। 

বুধবার (২০ নভেম্বর) কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় পিস প্যালেসে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।

কার্যালয়ে পৌঁছালে প্রধানমন্ত্রী হুন সেন স্পিকারকে অভ্যর্থনা জানান।

জাতীয় সংসদের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।  

সাক্ষাৎকালে তারা সংসদীয় চর্চা, ব্যবসা-বাণিজ্য, রাজনীতি ও উন্নয়ন এবং রোহিঙ্গা ইস্যুসহ দু’দেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন।

স্পিকার বাংলাদেশ ও কম্বোডিয়ার মধ্যে ঐতিহাসিক বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথা তুলে ধরেন। ১৯৭৩ সালে আলজিয়ার্সে অনুষ্ঠিত ন্যাম সম্মেলনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে কম্বোডিয়ার প্রয়াত ফাদার কিং নরোদম সিহানুক এর সাক্ষাতের মাধ্যমে দু’দেশের মধ্যে বন্ধুত্বের সূচনা হয় বলে তিনি উল্লেখ করেন। তারই ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দু’দেশের সম্পর্ক আরও জোরদার করেছেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বড় বোনের মতো উল্লেখ করে হুন সেন ২০১৭ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কম্বোডিয়া সফর ও ২০১৪ সালে তার ঢাকা সফরের বিষয়ে আলোকপাত করেন। তিনি বলেন, এসব সফরে দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্যসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে সহযোগিতার ক্ষেত্র প্রসারিত হয়।

হুন সেন মেকং-গঙ্গা সহযোগিতা প্ল্যাটফর্মের আওতায় এতদ অঞ্চলে উন্নয়ন সহযোগিতা জোরদার করার উপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে শান্তি ও স্থিতিশীলতা জোরদার করার ক্ষেত্রে এশীয় প্রশান্ত মহাসাগরীয় ফোরাম খুবই সহায়ক ভূমিকা রাখে।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সংসদীয় অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে আঞ্চলিক সর্ম্পক জোরদার করার উপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি আধুনিক কম্বোডিয়া বিনির্মাণে হুন সেনের অবদানের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা টেকসই উন্নয়নের পূর্বশর্ত।

স্পিকার মিয়ানমার সরকারের জোরপূর্বক বিতাড়িত রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে শান্তিপূর্ণ প্রত্যাবাসনের ক্ষেত্রে আসিয়ান পর্যায়ে চাপ অব্যাহত রাখার জন্য হুন সেনকে অনুরোধ জানান।

এর আগে স্পিকার ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি অব কম্বোডিয়ার স্পিকার সামদেক চাকরেই হেঙ সামরিন এবং কম্বোডিয়ার সিনেটের প্রেসিডেন্ট সামদেক ফিকদেই সে চাম এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাতে তারা বাংলাদেশ ও কম্বোডিয়ার মধ্যে সংসদীয় পর্যায়ে অভিজ্ঞতা বিনিময় বৃদ্ধির উপর গুরুত্বারোপ করেন। এ সময় সংসদীয় কূটনীতির মাধ্যমে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংযোগ বৃদ্ধির উপর তাগিদ দেওয়া হয়।

পরে স্পিকার নমপেনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে প্রস্তাবিত সড়কটি পরিদর্শন করেন।

এ সময় কম্বোডিয়ার সরকার ও সংসদীয় পর্যায়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ২১২০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২০, ২০১৯
এসকে/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।